মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক নারীর পরিবর্তে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে জোরপূর্বক হাসপাতালে ডিএনসি (গর্ভপাত) ঘটানোর চেষ্টায় মাত্র চারদিন পর জিয়াসমিন আক্তারের (২২) গর্ভের সন্তানটি মারা গেছে।
আজ রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লা জানিয়েছেন, ২৯ জানুয়ারি রাত থেকেই জিয়াসমিন আক্তারের ফের রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং তার তলপেটে ব্যথা শুরু হয়। শনিবার হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানা যায় তার গর্ভের সন্তানটি মারা গেছে।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি জিয়াসমিন আক্তার শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল পাঁচ মাসের গর্ভবতী জিয়াসমিনের। মঙ্গলবার দুপুরে ডাক্তার নাসিমার নির্দেশে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ফাতেমা আক্তার জিয়াসমিনকে বেড থেকে বের করে কর্তব্যরত ডাক্তার রুমা আক্তারের সহযোগিতায় জোরপূর্বক গর্ভপাতের চেষ্টা করান। এতে করে জিয়াসমিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে এ বিষয়ে অভিযোগও করা হয়েছিল।