গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার চকমামরোজপুর এলাকার তাজুল ইসলাম নান্টু তার আপন ভাতিজা মজনু মিয়া বাবুর একটি পুরাতন কাঁঠালের গাছ ও জিগার গাছ জোরপূর্বক কেটে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার(২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনায় মজনু মিয়া বাবু গাইবান্ধা সদর থানায় গাছ কাটার প্রতিকার চেয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তাজুল ইসলাম নান্টু দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির ব্যক্তি। তার বাড়ির পাশেই ৬ শতাংশ জমির উপর মজনু মিয়ার বাবুর পৌত্রিক বাড়ি। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নান্টু মিয়া ও তার লোকজন বাবুর বাড়ির সীমানায় প্রবেশ করে নিজের জায়গা দাবী করে জোরপূর্বক একটি বিশাল আকারের কাঁঠাল গাছ ও জিগার গাছ কর্তন করে। এ সময় বাড়িতে থাকা মহিলারা বাঁধা দিতে চেষ্টা করলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধরের হুমকী দেয়।
ভুক্তভোগী মজনু মিয়া বাবু বলেন, অন্যায়ভাবে তাজুল ইসলাম নান্টু আমাদের বাড়ির সীমানার মধ্যে কাঁঠালের গাছ ও জিগার গাছ কেটে নিয়েছে। আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের ৬ শতাংশ জায়গার সিংহভাগ জায়গা দখল করে নিয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়গুলো নিয়ে আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও তাতে তারা কর্ণপাত করেনা। সব সময় হুমকী-ধামকী ও গালিগালাজ করে। তাই বাধ্য হয়ে আইনের দারস্থ হয়েছি।
অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম নান্টুর ছেলে রাজিব মিয়া গাছ কাটার সত্যতা স্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, জায়গা জমি নিয়ে তাদের সাথে আমাদের দ্বন্দ আছে এটা ঠিক। তবে তাদের জায়গা যদি আমাদের মধ্যে থেকে থাকে আমরা ছেড়ে দেব।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, জোরপূর্বক গাছ কাটা সংক্রান্ত একটি আমরা হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে এ বাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।