ঢাকারবিবার , ২ অক্টোবর ২০২২
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দলের কথা বললে পিটুনী খাবেন; যুবলীগ নেতাকে শাসালেন এসআই!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
অক্টোবর ২, ২০২২ ১০:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আশরাফুল হক,লালমনিরহাটঃ আমরা এমপি মন্ত্রী বানিয়েছি। কতবড় নেতা হইছেন এবার হইয়েন। দলের কথা বললে পিটনী খাবেন। সময় হলে সব বুঝবেন। এভাবে যুবলীগ নেতাকে শাসিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক উপ পরিদর্শক(এসআই)।

উপ পরিদর্শক(এসআই) মোস্তাফিজার রহমান লালমনিরহাট সদর থানায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি পাশ্ববর্তি জেলা কুড়িগ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়ন যুবলীগের সম্পাদক নুরবক্ত মিয়ার নিকট আত্নীয় এক কিশোরী অপহৃত হয়। এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় গত ২৬ জুন একটি অপহরন মামলা দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। এ মামলা তদন্তের দায়িত্বপান সদর থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান।

তদন্তের এক পর্যয়ে কিশোরী ও অভিযুক্ত যুবকের সন্ধানে ঢাকার খিলগাও থানা এলাকায় অভিযান চালান তদন্ত কর্মকর্তা। সেখানে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়। কোন নারী পুলিশ বা কিশোরীর পরিবারের কোন নারী সদস্য ছাড়াই বাস যোগে তাদেরকে নিয়ে আসেন সঙ্গিয় পুরুষ কনস্টবলসহ এসআই মোস্তাফিজুর রহমান এবং ঢাকা যাওয়া আসা খরচের ২০ হাজার টাকা দাবি করেন

টাকা না দিলে কিশোরীকে যশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর হুমকী দেন। এক পর্যয়ে মেয়েকে ফিরে পেতে গরীব বাবা মা ১০হাজার টাকা যোগার করে তদন্ত কর্মকর্তাকে দিলে তবেই উদ্ধারকৃত অপহৃতা আদালতে পাঠানো হয়। টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় কিশোরীকে থানার একটি কক্ষে রেখে পরিবারের সদস্যের আড়াল করে রাখেন।

দাবিকৃত টাকা যোগার করে পাঠান ওই কিশোরীর মামা যুবলীগ নেতা। মোবাইলে কথোপকথনের একপর্যয়ে দলিয় পরিচয় দেয়া মাত্রই। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “যে দল করেন তার এমপি মন্ত্রী আমরা বানিয়েছি। এবার হইয়েন? কত বড় নেতা হইছেন এবার হইয়েন। দলের কথা বললে পিটনী খাবেন”। এসব কথা বলে শাসিয়েছেন বলে যুবলীগ নেতার অভিযোগ। তাদের কথোপকথনের একটি অডিও সংরক্ষিত রয়েছে।

অপহৃতা কিশোরী বলেন, ফেরার সময় রংপুরে শুধু আমাকে বাস থেকে নামিয়ে নির্জনে নিয়ে কু প্রস্তাব দিয়েছে এবং থানায় ঢুকেই মরিচ গুড়া যৌনাঙ্গে লাগানোর হুমকী দেন ওই এসআই। তার মুখের ভাষাও খুবই জঘন্য। টাকা না দিলে আমাকে যশোর পাঠানোর হুমকী দিয়েছিল। আমার মা টাকা নিয়ে গেলে তাকেও বোরকা খুলতে বাধ্য করেন এবং অশ্লীন ভাষায় গালমন্দ করেন। এসব বাহিরে বললে আমার মামলায় আমাকেই ফাঁসাতে চেয়েছে। মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করার দাবি করেন ওই কিশোরী ও তার পরিবার।

যুবলীগ নেতা নুরবক্ত বলেন, টাকার জন্য কিশোরীকে আমাদের সাথে দেখা করতে দেয়নি। বরংচ যশোর পাঠানোর হুমকী দেয়। দলের পরিচয় দিতেই তিনি রেগে গিয়ে দল নিয়েও বাজে মন্তব্য করেছেন। আওয়ামীলীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় এ পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবি জানান।

তবে তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমার মেয়ে জামাই এমবিবিএস ডাক্তার আমার কি কু-প্রস্তাব দেয়া সাজে? ঢাকা যাওয়া আসা খরচ হয় তাই তাদেরকে বলেছি তারা ১০হাজার টাকা দিয়েছে। বিএনপি’র সময় কনস্টবল পদে চাকুরী পেয়ে পদন্নতি পেয়েছি। আওয়ামীলীগ বড় দল তা নিয়ে বাজে মন্তব্যও আমার সাজে না।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, মামলা সংক্রান্ত কাজে কর্মস্থলের বাহিরে গেলে তার খরচ সরকারী ভাবে বহন করা হয়। বাদি বা কোন পক্ষের কাছে টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। কারো কাছে জোর করে টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন