ঢাকাবুধবার , ১৬ নভেম্বর ২০২২
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুই দলই হার্ডলাইনে!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
নভেম্বর ১৬, ২০২২ ২:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগও! দেয়া হবে না ছাড়। ঢাকার রাজপথ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্ষমতাসীন দলের ঘোষণা। এবার আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিও হার্ডলাইনে। অতীতের মতো আর সুযোগ দেয়া হবে না। নিয়েছে জীবনের ঝুঁকি। বলা হচ্ছে— দেয়া হবে মরণ কামড়। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়ন করতে চাইবে।

অন্যান্য বিভাগের মতো যদি ঢাকার সমাবেশে গাড়ি বন্ধ করে দেয়া হয়, পথে পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি দলের লোকেরা যদি বাধা দেয় তাহলে সেখান থেকেই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। রাজধানী ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে কঠোর অবস্থান চলবে।

সরকার কঠোর হলে বৃহৎ কর্মসূচি দেয়া হবে। রোডমার্চ-লংমার্চ কিংবা তার চেয়েও কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হতে পারে। আর যদি বাধা দেয়া না হয় তাহলে সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়া হবে। লোকসমাগমের বার্তা দেয়া হবে মাত্র। ঢাকার সমাবেশ নিয়ে বিভাগীয় দায়িত্বে থাকা নেতাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান সমাবেশ বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি প্রতিদিনই প্রস্তুতি সভা করছেন। গত শনিবারও বৈঠক করেছেন নারায়ণগঞ্জ।

ঢাকা প্রবেশমুখ যেসব এলাকা রয়েছে সেগুলোতে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের বাধা এলে তাৎক্ষণিক করণীয় কী হবে, যারা সারা দেশ থেকে আসবে তাদের ঢাকার পাশের জেলার নেতারা কিভাবে নিরাপত্তা দেবে, বাধা দিলে কিভাবে প্রতিরোধ করা হবে তা নিয়ে কৌশল জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। ৫০ লক্ষাধিক লোকের উপস্থিতি টার্গেট।

দুই-তিন দিন আগে যদি সব ধরনের গাড়ি বন্ধ করে দেয়া হয়, হোটেলগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়— তাহলে কী কৌশলে নেতাকর্মীরা ঢাকায় থাকবে, তাদের খাবারের কিভাবে ব্যবস্থা হবে— তাও নির্ধারণ করা হচ্ছে। বিভাগীয় সমাবেশে যারা দূর থেকে আসেন তাদের প্রাণ বাঁচার স্বার্থে যেমন সবজি খিচুড়ি রান্না করা হয়েছে, যাদের অভ্যাস আছে তারা জরুরি পরিস্থিতিতে খেয়েছেন। সেটি ঢাকায়ও প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।

ঢাকার সমাবেশ থেকে নির্বাচনি শোডাউন দেয়া হবে। এর মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে সাংগঠনিক শক্তি জানান দেয়া হবে। কৌশল অবলম্বন করে ঐতিহাসিক সমাবেশ করে শক্তির মহড়া দেয়া হবে। এর জন্য কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হচ্ছে। পরিবেশের ঝুঁকি কমাতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনও ব্যবহার করার প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানা গেছে। সমপ্রতি সরকারের নেতাকর্মীরা যে হুমকি দিচ্ছেন তা কোনো ধরনের আমলে নিচ্ছে না বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমপ্রতি হেফাজতে ইসলামের মতো বিএনপিকে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিএনপি বলছে, হেফাজত আর বিএনপি এক নয়। হেফাজতের সাংগঠনিক ভিত্তি নেই; কিন্তু বিএনপির রয়েছে। এখন বিএনপি যদি কোনো আন্দোলনের ডাক দেয় তবে হেফাজতসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল বিএনপির ডাকে সাড়া দেবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হেফাজতের ৫ জানুয়ারির ঘটনা অ্যাজেন্ডাভিত্তিক আলোচনা হয়েছে। ওই ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে দাবি করে তার বিচারও চাওয়া হচ্ছে।

এদিকে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আহ্বানে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে মৃত লাশের উপর যে উল্লাস নৃত্য চালিয়েছে তার ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামায়াতে ইসলামীকেও মাঠে নামাতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞরা।

ফরিদপুর সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, তোমাদের মনে থাকা উচিত , লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে মেরে তার ওপর তোমরা নেচে নেচে ওয়ান-ইলেভেন আনার ষড়যন্ত্র করেছিলে। আজকে গণতন্ত্রের কথা বলেন, সংবিধানের কথা বলেন— এই সংবিধানকে তো শেষ করেছেন আপনারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়েছিল আপনাদের দাবি। আপনারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন।

তখন জাতীয় পার্টি-জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলন করে এমন অবস্থা তৈরি করলেন— এক অচলাবস্থা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি যখন বুঝতে পারলেন, জনগণ এটি চায়। তখন তিনি পার্লামেন্ট ইলেকশন করে নতুন পার্লামেন্টে এক রাতে আমি সেই পার্লামেন্টের সদস্য ছিলাম এক রাত্রে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটা পাস করেছি।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, ঢাকার সমাবেশে ২০ দলীয় জোটের নেতাদেরও মঞ্চে আহ্বান জানানো হবে। যদিও অন্য বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি এককভাবে করেছে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম থাকতে পারেন। এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলিও আসতে পারেন যদি বিশেষভাবে আহ্বান জানানো হয়।

ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এ বিষয়ে বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর আমাদের সব নেতাকর্মী ঢাকায় আসবে। প্রতিরোধ করতে এলে উত্তর দেয়া হবে, যে ভাষায় তারা কথা বলবে, আমরাও সেই ভাষায়ই জবাব দেবো। ঢাকার সমাবেশ হবে স্মরণকালের সেরা সমাবেশ। সমাবেশ সফল করতে আমরা প্রায় প্রতিদিন প্রস্তুতি সভা করছি। আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ ও প্রশাসন কীভাবে বাধা সৃষ্টি করছে তা খতিয়ে দেখছি। যেভাবে বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে বাধা দেয়া হয়েছে, গাড়ি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে— এটি যদি ঢাকায়ও অব্যাহত রাখা হয় তাহলে আমরাও থেমে থাকব না। প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’

আপনার মন্তব্য লিখুন