ঢাকামঙ্গলবার , ২২ নভেম্বর ২০২২
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পঞ্চগড়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
নভেম্বর ২২, ২০২২ ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টারঃ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চতুরাডাঙ্গী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারীর বিরুদ্ধে, অবৈধভাবে দুইজন শিক্ষককে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার নিয়ম না থাকলেও গোপনে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে, এলাকায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়।


জানা যায়,করোনাকালীন সময়ে ননএমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য সরকার চিন্তা করে প্রণোদনা সহায়তা দেয়। সেই প্রণোদনা নেয়ার তালিকায় ১১ জন শিক্ষক কর্মচারীর নাম দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও নির্বাহী অফিসারকে প্রত্যয়ন দেয় প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারী। সদ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর
পূর্বের তারিখ দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয় গীতা রানী দাস নামের এক শিক্ষিকাকে।
যিনি ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে একই উপজেলার এন বি এল হাজী লুৎফর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। একইভাবে নিয়োগ দেখিয়েছেন বিষ্টু রাম রায় নামের এক শিক্ষককে। যাকে এই প্রতিষ্ঠানে ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবরে যোগদান দেখিয়েছেন।অথচ তিনি নীলফামারী জেলার লতিবাড়ি চৌরঙ্গী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।

বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কতৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে হওয়ায় জাল কাগজপত্র তৈরি করে প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারী বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বার্ষিক জরিপ ২০২২, শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী সম্পর্কিত তথ্যে এ দুজনের নামসহ ১৩ জনের নামের তথ্য পাঠিয়েছেন।
এদিকে এন বি এল হাজী লুৎফর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর কুতুবে আলম শিক্ষক গীতা রানী দাসের তথ্য ব্যানবেইসে পাঠিয়েছেন।
তবে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাঠানো হলেও দুই জায়গায় দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র ও দুটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।

চতুরাডাংগী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারী এ বিষয় কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি মানবিক কারনে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন।

প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.সলিমুল্লাহ্ বলেন,ব্যানবেইস এ কে কি তথ্য দিচ্ছে সেটা আমাদের জানার বাইরে।তবে অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন