ঢাকাশুক্রবার , ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পবিত্র শুক্রবার আজ: মুসলিম উম্মাহ’র সাপ্তাহিক ঈদ!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২ ৪:২৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ইসলাম ডেস্কঃ একজন মুসলমান হওয়ার প্রধান শর্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। আর একজন মুসলমান ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে নামাজ। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। আর মানুষের কাজ হচ্ছে ঈমান আনার পরই জীবনের প্রত্যেকটি কাজেই আল্লাহর বিধান অনুসরণ করে চলা।

আর এই কাজের মধ্যে শুক্রবারের দিন জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজকে ফরজ করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য আল্লাহর এক অন্যতম রহমত। তাই মুসলমান হিসেবে জুমার নামাজ পড়া অত্যন্ত জরুরি।

যারা জুমার নামাজ থেকে বিমুখ থেকে অন্য কাজকর্মে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন, আল্লাহতায়ালাও তার দিক থেকেও বিমুখ থাকেন।

জুমার দিনের ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহতায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন এই দিনে। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মুসলিম উম্মাহ’র সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহতায়ালা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)।

আর এর পর তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতঃপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।

তবে অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হলো- ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।

শুক্রবার অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা একত্রিত হন। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- মসজিদ ছাড়া কি জুমার নামাজ আদায় করা যায়?

এই প্রশ্নের উত্তরে বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আল মাদানী বলেন, জামে মসজিদেই আসলে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং জুমার নামাজের জন্য কিছু শর্তও রয়েছে। সেই শর্তানুযায়ীই সালাতুল জুমা হয়। তবে জামাত যদি অনেক বড় হয়ে যায়, সেখানে যদি ইমাম থাকেন, খুতবা দেওয়া হয়, পাশাপাশি অনেক মানুষ থাকেন। এই মানুষগুলো না কোনো মসজিদে ঢুকতে পারবে, না অন্য কোনো মসজিদে তাঁদের জায়গা হবে, এ ক্ষেত্রে তাঁরা যদি আলাদা জুমার নামাজ পড়তে চান, তাহলে সেটি হয়ে যাবে। কারণ তাঁরা জুমার শর্ত পূরণ করছেন। তাঁদের জুমার নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

জুমার নামাজের জন্য শর্তগুলো হচ্ছে-ইমাম থাকতে হবে, খুতবা থাকতে হবে, মুসল্লি থাকতে হবে, এমনিতে কোনো কারণে নয়, যদি জামাত অনেক বড় হয়ে যায়, তাহলে তাঁরা মসজিদের বাইরে জুমার নামাজ আদায় করতে পারবেন। কারণ এতগুলো মানুষ কোনো মসজিদে চলে যাওয়া অথবা অন্য মসজিদে জায়গা হওয়া সম্ভব না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কারো বাসা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মসজিদ, এতদূরে না গিয়ে তাঁরা ১৫/২০ জন মিলে বাড়ির সামনেই জুমার নামাজ আদায় করে নেবে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুন