ঢাকারবিবার , ৮ নভেম্বর ২০২০
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল সাজাবেন যেভাবে

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
নভেম্বর ৮, ২০২০ ৭:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি মাধ্যম, যার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রথমেই  কিছু কাজ করতে হবে। সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে শুধু একাউন্ট খুললেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। এখানে আপনাকে অনেক কিছু জিনিস সুন্দর করে তৈরি করতে/সাজাতে হবে। আপনার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের একাউন্ট/প্রোফাইলকে যেকোনো একটি দোকানের সাথে তুলনা করতে পারেন। একটি জিনিস আবশ্যই জানেন। যে দোকানের পণ্যের গুনগতমান এবং সাজসজ্জা যত ভালো হয়, সেই দোকানের গ্রাহক তত বেশি হয় এবং ঐ দোকান থেকে গ্রাহকগণ কেনাকেটা করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন।তাই আপনার একাউন্ট/প্রোফাইলটি অনেক যত্নসহকারে সাজাতে হবে, যেনো বায়ারগণ আপনার থেকে কাজ করে নিতে আগ্রহী হন । আজ আমি একাউন্ট/প্রোফাইলের কিছু গিুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

ইউজার নেম: আমরা অনেকেই একাউন্ট খোলার সময় এই বিষয়টার প্রতি তেমন গুরুত্ব দেই না। কিন্তু এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেখা যায় আমরা একাউন্ট খোলার সময় ইচ্ছামত একটা নাম দিয়ে দেই। একটা বিষয় মনে রাখবেন, ইউজার নেম কিন্তু পরবর্তিতে বদলানো যায় না। চেষ্টা করবেন যেন সব মাধ্যমেই ইউজার নেম একই হয়। এতে যে কেউ আপনার ইউজার নেম দেখে আপনাকে চিনতে পারবে।

প্রোফাইল পিকচার: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের একাউন্ট/প্রোফাইলের ইউজার নেম এর মত এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি আপনার খুব বেশি সমস্যা না থাকে, তাহলে প্রোফাইলে নিজের ছবি দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন। খুব দামী পোশাক পড়ে সেজেগুজে ছবি দিতে হবে না। সাধারণ পোশাক পরলেও কোন সমস্যা নাই।শুধু একটা জিনিস  খেয়াল রাখবেন ছবিতে যেন আপনার মুখ ভালোভাবে বোঝা যায়। সকল সামাজিক মাধ্যমে একই ছবি ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। কারন বায়ারগন আপনার নাম মনে রাখতে না পারলেও ছবি দেখে আপনাকে চেনার সুযোগ অনেক বেশি।

ই-মেইল: সব ক্ষেত্রে একই ই-মেইল ব্যাবহার করার চেষ্টা করবেন। যেমন- একাউন্ট খোলা, টাকা উত্তোলনের জন্য একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে। তাহলে একাউন্ট ভেরিফাই করতে সুবিধা হবে।

একাউন্টের বিবরণ: যেকোনো মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলার সময় অল্প কথায় নিজের সম্পর্কে কিছু লিখে দিতে হয়। সেখানে আপনাকে সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করবেন। যা পড়লে আপনার সম্পর্কে সহজেই ধারনা পাওয়া যায়।

স্কিল/দক্ষতা: একাউন্ট/প্রোফাইল খোলার পর অবশ্যই আপনার স্কিল/দক্ষতা যোগ করে দিবেন। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ভাবে স্কিল/দক্ষতা যোগ করার উপায় থাকে। আপনর যে কাজে স্কিল/দক্ষতা খুব ভালো আপনি শুধু সেগুলোই যুক্ত করবেন। যা জানেন না তা যুক্ত না করাই ভালো। স্কিল/দক্ষতা দেখে ক্লায়েন্ট/বায়ার আপনার কাছে কাজ দিতে ভরসা পাবে।

পোর্টফলিও: একাউন্ট/প্রোফাইলে শুধু স্কিল/দক্ষতা যোগ করলেই হবে না। আপনার যে স্কিল/দক্ষতা আছে, তার প্রমাণ হিসেবে কাজের নমুনা রাখতে হবে। কারন শুধু স্কিল দেখে কেউ আপনাকে কাজ দিতে ভরসা পাবে না।

কাজের জন্য আবেদন করা: স্কিল/দক্ষতা এবং পোর্টফলিও থাকলেই কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। এখানে এটাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়। একেক মার্কেটপ্লেসে একেভাবে কাজ পাওয়া জন্য আবেদন করতে হয়। কোথাও আপনাকে বিড করতে হবে আবার কোথাও বায়ার রিকুয়েস্ট পাঠাতে হবে। আবেদন যেভাবেই করেন না কেনো। কাজে আবেদন করার আগে কিছু জিনিস মাথায় রাখবেন। ভালোভাবে কাজের বিস্তারিত পড়বেন। সেই কাজটি আপনি করতে পারবেন কিনা সেটা ভালোভাবে দেখুন। দেখা যাচ্ছে, কাজটির অর্ধেক পারি অর্ধেক পারি না। তাহলে এইরকম কাজে ভুলেও আবেদন করবেন না। কাজে শতভাগ নিশ্চিত হয়েই আবেদন করুন।কাজ ভালোভাবে করতে না পারলে প্রোফাইলের জন্য ক্ষতিকর আবার ভবিষ্যতে কাজ পেতে সমস্যা হতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুন