ঢাকাশনিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে মেয়ে

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ ১০:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পঞ্চানন রায়, বিশেষ প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে বাবার লাশ বাড়ীতে রেখেই চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন নমিতা রানী ঝাঁ নামে এক পরিক্ষার্থী।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব বাকডোকরা গ্রামে শিয়ালডাঙ্গা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে । নমিতা রানীর বড় ভাই বিপুল কুমার ঝাঁ জানান, সকাল ছয়টায় আমার বাবা সুনীল চন্দ্র ঝাঁ মারা যায়।


নমিতা আমার ছোট বোন। সে এবারে এসএসপি পরিক্ষা দিচ্ছে। আজ সকাল ১১টায় পরীক্ষায় অংশ নেন নমিতা রানী। পরীক্ষা শেষে বাড়ীতে এসে বাবার শেষকৃত অনুষ্ঠানে অংশ নেয় সে। সুনীল চন্দ্র ঝাঁ পূর্ব বাকডোকরা গ্রামের শিয়ালডাঙ্গা এলাকার মৃত. সচ্চিকা নন্দ ঝাঁ সচিনের মেঝো ছেলে।
নমিতা রানী ঝাঁ উপজেলার নিমোজখানা বাকডোকরা স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। তার রোল নম্বর-৫৩০৭৬২। শনিবার বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা পরীক্ষা ছিল। হঠাৎ করে সকালে মারা যান তার বাবা। একদিকে বাবা মারা গেছে অন্যদিকে পরীক্ষা। বাবার মারা যাওয়ায় একবারে ভেঙ্গে পড়েছে নমিতা রানী ঝাঁ। পরে স্বজনদের পরামর্শে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল ৬টার দিকে হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান নমিতার বাবা সুনিল চন্দ্র ঝাঁ।মৃত্যুর পর বাবাকে হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েন তিন ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট নমিতা রানী ঝাঁ। অপরদিকে সকাল ১১টায় তার বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা পরীক্ষা।

Add kgggvvg
বাবার মৃত্যু শোকে বারবার মুর্ছা যাওয়া নমিতার পক্ষে পরীক্ষা দেওয়া অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছিলো। এ সময় তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা তাকে বুঝিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠায় এবং সে ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বাবা মারা যাওয়ার পরও নমিতা রানীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবরটি পেয়ে আমরাও শোকাহত। আমরা ওই পরিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে তার বিষয়টি অনুধাবন করে তার পরীক্ষা গ্রহন করি। খবর পেয়ে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলম নমিতা রানীর কাছে এসে তার প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করেন। পরীক্ষা শেষ হলে তাকে নিরাপদে বাড়ীতে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। পরীক্ষা শেষে বাড়ী পৌছে নমিতা রানী। বাড়ী পৌছার আধাঘন্টা পর তার বাবার লাশ অন্তোষ্টি ক্রিয়ার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রমিজ আলম বলেন, খবরটি শুনে আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে নমিতা রানীর সাথে দেখা করে তার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করি। পরীক্ষা কেন্দ্রে তার যেন কোন অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে কেন্দ্র সচিবকে ব্যবস্থা নিতে বলি। বিকালে ইউএনও নমিতার পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এসময় বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমুন ও অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সত‍্যনারায়ন রায় (জয়) উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন