আপাতদৃষ্টিতে ঘুমকে মনে হতে পারে জীবনের অতি সাধারণ একটি বিষয়। বিষয়টি নিয়ে আলাপচারিতাও একটু কেমন কেমন ঠেকতে পারে! আসলেই কি তাই? যারা ঘুমের সমস্যায় ভোগেন তারাই কেবল বুঝতে পারেন এর মর্ম। ঠিকমতো ঘুম না হলে কোনো কিছুই ঠিকঠাক চলে না।
১৭ মার্চ বিশ্ব ঘুম দিবস। যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন মূলত তাদের উপলক্ষ করেই দিবসটির প্রচলন। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মানুষকে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা, বিষয়টি নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও এই দিবসটির লক্ষ্য।
ইতিহাসঃ
মারাত্মক ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষকে সহায়তা এবং বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৮ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বব্যাপী ৭০টিরও বেশি দেশে এটি পালন করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে।
এই দিবস ঘুম সম্পর্কিত বিভিন্ন ইস্যু যেমন- ঘুমের ওষুধ এবং অনিদ্রার সামাজিক প্রভাব নিয়ে কাজ করে। হালকা থেকে গুরুতর ঘুমের সমস্যা বর্তমান সমাজে অনেকের মাঝেই দেখা যায়। গুরুত্ব না দিলে এটি পুরো জীবনকে এলোমেলো করে দিতে পারে।
ঘুমের ওষুধ ও ঘুম নিয়ে গবেষণা করা একদল চিকিৎসাবিদের হাত ধরে এই দিবসের পথচলা শুরু।
কীভাবে উদযাপন করবেনঃ
দিবসের কথা যখন এসেছে তখন পালনের প্রসঙ্গ আসাও স্বাভাবিক। ঘুম দিবস পালন খুবই সহজ। ভালো ঘুমের অভ্যাস এনে দিতে পারে এমন কিছু পদক্ষেপই এ দিবসের প্রধান কাজ। তবুও কিছু পরামর্শ-
ঘুমাতে কে না ভালোবাসে! তাই ঘুমিয়েই এই দিনটি উদযাপন করুন। কাজ থেকে ছুটি নিন এবং যতক্ষণ ইচ্ছা ঘুমান। আর তা সম্ভব না হলে অন্তত ২০ মিনিটের জন্য ঘুমিয়ে নিন। ওঠার পরে সতেজ অনুভূতি হলে বুঝতে হবে, এই ঘুমটা সত্যিই আপনার দরকার ছিল।