বিশেষ প্রতিনিধিঃ রাজধানী ঢাকার আশুলিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে একটি হাইচ মাইক্রোবাস ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে আব্দুল্লাহপুর- আশুলিয়া মহাসড়কের আশুলিয়া বেরিবাধ দৌড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪জনকে আসামী করে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ্ঐ গাড়ির চালক কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার কাচারীপাড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে মেহেদী হাসান পুলক(৩৪)। হাইচ মাইক্রোবাসের মালিক মিরপুর পৌরসভার যুগিপোল শিমুলিয়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল্লাহ (২৭) ও তার স্ত্রীর বড়ভাই ভেড়ামারা থানার চাঁদগ্রাম এলাকার বাবলু হোসেনের ছেলে সুলতান আহম্মেদ (৩৬) এবং অভিযোগের অনুলিপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীর নতুনহাট গ্রীনসিটি থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত বিদেশি নাগরিককে নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন চালক মেহেদী হাসান পুলক। পরে ঐ বিদেশি নাগরিককে ১১ ডিসেম্বর রাত ৩ টার দিকে ঢাকা বিমানবন্দরের নামিয়ে ফেরার পথে ভোর ৪ টার দিকে আশুলিয়া থানা এলাকার আব্দুল্লাহপুর- আশুলিয়া মহাসড়কের আশুলিয়া বেরিবাধ দৌড় এলাকায় পৌঁছালে মহাসড়কের ডানপাশে দাঁড় করানো একটি সাদা রঙের হাইচ মাইক্রোবাসের পাশে থাকা ট্রাফিক পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি গাড়ি থামানোর জন্য সিগনাল দেয় কিন্তু চালক গাড়ি না থামিয়ে সামনের দিকে যেতে থাকে , হঠাৎ করে সামনের দিক থেকে একটি ড্রাম ট্রাক চলে আসার কারণে হাইচ থামিয়ে দেন চালক।
এসময় পিছন থেকে একটি হাইচ গাড়ি সামনে এসে গতিরোধ করে গাড়ি থেকে দুইজন ডিবি পুলিশের পোশাক পরিহিত এবং একজন মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের পোশাক পরিহিত চালকের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে চালক কাগজপত্র বের করে দিলে একজন সে কাগজপত্র দেখতে থাকে সাথে থাকা অন্যরা গাড়ি তল্লাশি করার কথা বলে চালককে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে সাথে সাথে চোখ মুখ ও হাত-পা বেঁধে মারধর করে কিছুদূর যাওয়ার পর একটি স্থানে চালককে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছিনতাই হওয়া গাড়ির চালক মেহেদী হাসান পুলক বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদনÍকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ মুঠোফোনে জানান, ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
