স্টাফ রিপোর্টারঃ লালমনিরহাটে বিউটিফুল লালমনিরহাট সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করতে গিয়ে এক প্রতারককে আটক করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

প্রতারকের লিখিত অঙ্গিকারনামা ও বিউটিফুল সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শহরের বিডিআর হাটখোলা এলাকায়... বছর আগে স্থানীয় যুবকেরা মিলে সংগঠনটি শুনামের সাথে সংগঠনটি পরিচালনা করে আসছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কিসামত হারাটি গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে, আলী হোসেন মোস্তফা (২২) , গত ২৪ জানুয়ারী আদিতমারী উপজেলার সরলখা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের জন্য যায়। সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কাউকে কিছু না জানিয়ে জালিয়াতি করে বিউটিফুল লালমনিরহাট সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে ভুয়া প্যাড ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ২০ টাকা হারে গ্রহণ করে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে সংগঠনের ভুয়া প্যাডে রিপোর্ট প্রদান করে।

পড়ে ঐ বিদ্যালেয়ের কিছু শিক্ষার্থী, তাদের রক্তের গ্রুপ জানা থাকায় বুঝতে পারে যে তাদের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে ঐ প্রতারক। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ঘটনা খুলে বললে প্রতারক মোস্তফাকে আটক করে।
তখন শিক্ষার্থীদের কাছথেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিলেও প্রধান শিক্ষক কৌশলে প্রতারকের ছবি উঠিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতারক হতে সাবধান হওয়ার জন্য স্টাটাস দিলে, সংগঠনটির নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি গোচর হয়।
পড়ে তাকে চিহ্নিত করে সংগঠনের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে প্রতারণার ঘটনার বিষয় টি প্রতারক মোস্তফার মাধ্যমে দর্শকদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করে।
পড়ে প্রতারক মোস্তফার বাবা তার এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তির উপস্থিতিতে তার নিকট হতে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এবিষয়ে বিউটিফুল সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহ-সভাপতি সুজন চন্দ্র দাস বলেন, ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হতে আজঅবধি আমাদের সংগঠনটি সুনামের সহিত মানুষের সেবায় কাজ করে আসছে। সংগঠন পরিচালনা হয় আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে।
সংগঠনের পক্ষে এ পর্যন্ত ১৩শ'র অধিক মুমূর্ষু রোগীকে বিনাপয়সায় রক্ত দানের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।
এসময় প্রতারকদের থেকে সাবধান থাকার অনুরোধ জানান তিনি।