করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে বৈঠকে বসেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটকে আগামী কয়েক মাসের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের রফতানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। চুক্তির আওতায় ভারতের এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাংলাদেশের করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বৈঠকে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। সিদ্ধান্তের বিষয় আপনাদের জানানো হবে।
গত ৫ নভেম্বর অক্সফোর্ড উৎপাদিত ‘কোভিডশিল্ড’ ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ পেতে সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এই উদ্যোগের আওতায় প্রথম ধাপের ছয় মাসের প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা ছিল সিরামের।
গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়াল্লা বলেন, গত রোববার ভারতীয় নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু শর্ত হলো, ঝুঁকিতে থাকা ভারতীয় জনগণের জন্য ডোজ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য রফতানি করতে পারবে না সিরাম ইনস্টিটিউট।
গত ১ জানুয়ারি দেশটিতে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল ভারত। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় ভারতের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়।
ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার পর বাংলাদেশেও এ ব্যাপারে আশা দেখা দিয়েছিল। চলতি জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা জানিয়েছিল দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।