ঢাকাশুক্রবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৪
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জুমার খুতবার সময় অনর্থক কাজে ব্যস্ত থাকা নাজায়েজ

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জানুয়ারি ১৯, ২০২৪ ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ইসলাম ডেস্ক: খুতবার শাব্দিক অর্থ বক্তৃতা বা বক্তব্য দেওয়া। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় খুতবা এমন বক্তৃতা, যাতে আল্লাহর প্রশংসা, তার একত্ববাদের ঘোষণা, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি দরুদ এবং উপস্থিত সাধারণের প্রতি উপদেশ বিদ্যমান থাকে।

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর কুবার মসজিদে প্রথম জুমার নামাজ আদায় করেন। এ নামাজে তিনি নিজেই ইমামতি করেন। এ দিন জুমার নামাজের আগে তিনি দুটি খুতবা প্রদান করেন। তখন থেকেই শুক্রবারে জুমার নামাজের জামাতের আগে দুটি খুতবা প্রদানের নিয়ম প্রচলিত রয়েছে।

জুমার খুতবা জুমার নামাজের অংশ। যেসব কাজ নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলাকালীন সময়ও হারাম। খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়া নাজায়েজ, কথা বলা নাজায়েজ, এমন কি খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজে ব্যস্ত থাকাও নাজায়েজ।

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, জুমার দিন যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করবে, তারপর জুমার নামাজে যাবে, চুপ থেকে খুতবা শুনবে, তাহলে তার এ জুমা থেকে পূর্ববর্তী জুমার মধ্যকার এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের পাপ মাফ করে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি জুমার খুতবার সময় পাথর নাড়াচাড়া করল, সে অনর্থক কাজ করল (সহিহ মুসলিম: ২০২৫) অর্থাৎ নিজের জুমার সওয়াব নষ্ট করল।

মসজিদে নববির মেঝে ছিল কঙ্করের। তাই নবিজি (সা.) খুতবার সময় বসে বসে কঙ্কর নাড়াচাড়া করার কথা বলেছেন। খুতবার সময় যে কোনো অনর্থক কাজ এ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হবে। যেমন কেউ যদি খুতবার সময় কথা না বলে, কিন্তু মোবাইল নিয়ে অনর্থক ব্যস্ত থাকে, তাহলেও সে জুমার পূর্ণ সওয়াব থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তাই খুতবার সময় চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুন