ঢাকাশুক্রবার , ৭ মে ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হবিগঞ্জে ফসলের অতন্দ্রপ্রহরী কাকতাড়ুয়া!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মে ৭, ২০২১ ১১:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ।। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে চারিদিকে সবুজ ফসল আর সোনালী ধান এসেছে বৈশাখ শায়েস্তাগঞ্জে ধান কাটা চলছে আবারও কোন কোন জমিতে ধান বের হলেও এখনো পাকেনি এসব ধানে ভরা ফসলি জমির মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে একজন অতন্দ্র প্রহরী। কোথাও কোথাও মাটির হাড়ির পেছনে কাচা হাতে আকা বাকা চোখ মুখ ও নাক হাড়িকে ব্যবহার করা হচ্ছে মাথা হিসেবে। আবার কোথাও কোথাও লাটির উপরে পড়ানো হয়েছে শার্ট পাঞ্জাবি এদের আবার হাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে খড়ের পুত্তলী, হাত আছে পা আছে গায়ে আছে জামা দূর থেকে দেখলে মনে হবে একজন আপাদমস্তক একটা মানুষ দাড়িয়ে আছে। কিন্তু কাছে না আসলে বুঝা যাবেনা এর আসল কাহিনী এরই নাম কাকতাড়ুয়া কাচা পাকা ধানকে ক্ষতিকারক পশুপাখির হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই জমিতে জমিতে একটি কাকতাড়ুয়া স্থাপন করেছেন।

জানা যায় কাকতাড়ুয়ার প্রচলন বহু বছর আগ থেকে বর্তমান ডিজিটাল যুগেও এর ব্যবহার শেষ হয়ে যায়নি। আবহমান গ্রাম বাংলার কৃষকরা জমির ফসল পাখি ইদুর গুইসাপ কাক চিল অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই অবিনম এই পন্থা ব্যবহার করে আসছিলেন। মফস্বলে এই কাকতাড়ুয়ার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। শায়েস্তাগঞ্জ অঞ্চলের বেশিরভাগ জমিতেই স্থাপন করা হয়েছে কাকতাড়ুয়া, রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করে ফসল রক্ষা করতে ফসলের বুকে বুক চিতিয়ে দাড়িয়ে থাকে। কাকতাড়ুয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য কোন অংশেই কম নয় কাকতাড়ুয়া স্থান পেয়েছে গল্প নাটক, উপন্যাস আর কবিতায় স্থান পেয়েছে শিল্পীর রঙ তুলির আচলে।

এই কাক তাড়ুয়ার কদর একজন কৃষকের কাছে অনেক বেশী
উপজেলার কৃষক কামরুল হাসান জানান, কাকতাড়ুয়া দেখলে পোকামাকড় ভয় পায় এটি বানিয়ে জমিতে লাগানো আমাদের পুর্বপুরুষরা পথ দেখিয়ে গেছেন। কাকতাড়ুয়ার জন্য ফসল অনেক ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় উপজেলার কৃষক আব্দুল হেলিম জানান, কাকতাড়ুয়া স্থাপন করতে তেমন কোন খরচ নেই কাকতাড়ুয়া বলতে পারেন কৃষকদের বন্ধু। কাচা পাকা ফসল কীটপতঙ্গ এর হাতে থেকে রক্ষা করার জন্য এর অবদান অনেক
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর জানান।

আসলে কাকতাড়ুয়া গ্রাম বাংলার একটি প্রাচীন সংস্কৃতি। তবে সরকারিভাবে কৃষি জমিতে কাকতাড়ুয়ার দেয়ার জন্য তেমন কোন নির্দেশনা নেই আমার জানামতে কাকতাড়ুয়া সম্পর্কে মানুষ কিছুটা কুসংস্কার ধারণ করে, যে কাকতাড়ুয়া দিলে ফসলের দিকে কারো নজর পড়বে না ফসল ভাল হবে আসলে বৈজ্ঞানিকভাবে এর কোন ব্যাখা ও নেই তবে জমিতে যখন ধান পাকে তখন বিভিন্ন পাখিরা ধান খেতে আসে কিন্তু কাকতাড়ুয়াকে মানুষ মনে করে এরা উড়ে চলে যায় এভাবে কাকতাড়ুয়ার কারণে কৃষক উপকৃত হয়ে থাকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন