ঢাকাশুক্রবার , ২২ জানুয়ারি ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফ্রান্সের ফোন নম্বর ব্যবহার করে শতাধিক সুন্দরীর সর্বনাশ করলেন ভয়ঙ্কর এই প্রতারক

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জানুয়ারি ২২, ২০২১ ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শয়ন কক্ষকে সাজিয়েছেন পশ্চিমা বাসা-বাড়ির আদলে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার করেন ফ্রান্সের মোবাইল ফোন নম্বর। এর পেছনে একটাই টার্গেট অবিবাহিত সুন্দরী তরুণী। বিদেশি বাসা-বাড়ির আদলে সাজানো কক্ষ থেকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফ্রান্সের ফোন নম্বর থেকে কথা বলতেন তরুণীদের সঙ্গে। কখনও ফোনে, কখনো ইমুতে আবার কখনও হোয়াটসঅ্যাপে।

বিয়ে করে ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে ফেলেন তাদেরকে। কাউকে গোপনে বিয়ে করেন আবার কাউকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আদায় করেন মোটা অঙ্কের টাকা। ফ্রান্স প্রবাসী পরিচয়ে এমন প্রতারণা করে অসংখ্য মেয়ের সর্বনাশ করে অবশেষে পুলিশের হাতে বন্দি হয়েছেন তিনি।

ভয়ঙ্কর এই প্রতারকের নাম ইমাম হোসেন (৪২)। তার কাছে প্রতারিত হয়ে সর্বস্বান্ত হওয়া এক তরুণীর মামলার প্রেক্ষিতে গেলো বুধবার দিনগত রাত চারটার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও (কোনাপাড়া) গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুছের ছেলে।

গেলো বছরের ২৭ ডিসেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ ইমাম হোসেনকে প্রধান অভিযুক্ত করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা (বিশ্বনাথ সি.আর মামলা নং-২৩২/২০২০) করেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ওই তরুণী। আদালতের নির্দেশে গেলো দুই জানুয়ারি বিশ্বনাথ থানায় মামলা (নং-৩) রুজু হয়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন সিলেটের ওসমানী নগরের দিরাই গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে বশির উদ্দিন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে লেবু মিয়া মিন্টু, তার স্ত্রী মিনু ও বাওধরন গ্রামের মৃত তরমুজ আলীর ছেলে রুপণ আহমদ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ শর্ম্মা জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চারটি বিয়ে করেছে বলে জানিয়েছে ইমাম হোসেন। তবে, আমাদের ধারণা তার বিয়ের সংখ্যা ১৫-২০টির মত হবে। তার মোবাইল ফোন ঘেটে পুলিশ অনেক তথ্য ও অসংখ্য মেয়ের সঙ্গে তার ছবি পেয়েছি। সে শতাধিক মেয়ের সর্বনাশ করেছে বলে ধারণা করছি। তার রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

প্রতারক ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা।

আপনার মন্তব্য লিখুন