বগুড়ার শেরপুরে ১৯ দিন আগে গুম হওয়া ইকবাল হোসেন নামে লাল তীরের বিপণন ব্যবস্থাপককে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার সাভার থেকে উদ্ধার হওয়া ওই ব্যবস্থাপককে শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
ইকবাল হোসেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা গ্রামের রাজাবুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার সকালে শেরপুর থানার এসআই তন্ময় বর্মণ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাল তীর নামের একটি বেসরকারি কোম্পানির শেরপুর ও ধুনট উপজেলায় বীজ ও কীটনাশক বিপণন ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করতেন ইকবাল হোসেন। তিনি শেরপুর শহরের তালতলা এলাকার ছাত্রাবাসে থাকতেন। ৬ ডিসেম্বর সকালে কোম্পানির অর্ডার নিতে এবং বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হন ব্যবস্থাপক ইকবাল। তার মুঠোফোনও বন্ধ ছিল।
এরইমধ্যে ৮ ডিসেম্বর উপজেলার চান্দাইকোনা-রানীরহাট সড়কের ভবানীপুর এলাকায় সড়কের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় ইকবালের মোটরসাইকেল ও হেলমেট উদ্ধার হয়। এদিকে তার সন্ধান না পাওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রাতে বড় ভাই নাজমুল হুদা তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করলে রাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন- শেরপুর পৌরশহরের হাসপাতাল রোড পল্লীবাস এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে নাহিদ হাসান লিটন, পাশের খেজুরতলাস্থ শান্তিনগর পাড়ার শাহ আলম শেখের ছেলে আরিফ শেখ ও পশ্চিম দত্তপাড়ার আব্দুর রউফের ছেলে তবিবর রহমান টিপু।
পরবর্তীতে ১১-১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় ইকবাল সম্পর্কে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা ও সাভার জেলায় অভিযান চালায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের জোরগাছা এলাকা থেকে উদ্ধার করে তাকে শুক্রবার বগুড়ায় এনে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তারপর ইকবালকে আদালতে উপস্থিত পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, উদ্ধারের পর ইকবাল অপহরণের বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছে তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া উদ্ধার হওয়া ইকবাল শারীরিকভাবেও অসুস্থ। তার কথার মধ্যেও জড়তা রয়েছে। সব বিষয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
