ঢাকাবুধবার , ৭ জুন ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিদ্যুৎহীন জীবন কাটানোর আছে নানান উপকারিতা!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জুন ৭, ২০২৩ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

একটু চেষ্টা করলেই বিদ্যুৎহীন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, এই জীবনের অনেক উপকারী দিকও আছে।

বেশির ভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ ছাড়া জীবন কল্পনা করা প্রায় অসম্ভব। বিদ্যুৎ ছাড়া বেঁচে থাকার চিন্তা এতটাই ভীতিকর যে, এই সেবা ছাড়া ১ বা ২ দিন কাটানোর কথা চিন্তাও করবেন না অনেকে। তবে একটু চেষ্টা করলেই বিদ্যুৎহীন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, এই জীবনের অনেক উপকারী দিকও আছে।

বিদ্যুৎ ছাড়া বেঁচে থাকা ততটা কঠিন নয়, যতটা আপনি ভাবছেন

বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করার আগে, আমরা সবাই এটি ছাড়াই বাস করতাম। প্রায় আড়াই লাখ অমিশ সম্প্রদায়ের (তাইওয়ানের একটি অস্ট্রোনেশীয় জাতিগত গোষ্ঠী) মানুষ আজও টিকে আছে বিদ্যুৎ ছাড়াই।

হ্যাঁ, কিছু জিনিস বিদ্যুৎ ছাড়া আরও কঠিন। তবে বিদ্যুৎ না থাকাটাও অনেক কিছুকে সহজ করে দেয়। একটু মানিয়ে নিতে পারলে সম্ভবত এতটা বিদ্যুৎ মিস করবেন না আপনি।

টিভি নেই মানে আপনার আরাম করার সময় আছে

আমরা বেশিরভাগই টিভি ব্যবহার করি আরামের উপায় হিসেবে। মজার বিষয় হলো, টিভির সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সোফায় বসে থাকার পরও অনেকে আরাম বোধ করেন না।

বিদ্যুৎহীন সময়ের শুরুর দিকে টিভি, রেডিও, ইন্টারনেট না থাকাটা একটু অদ্ভুত লাগতে পারে। তবে কিছু সময় পার হলে, এটার সঙ্গে আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন। মনে হতে থাকবে, ক্রিকেট খেলা বা প্রিয় তারকার চেহারা পর্দায় দেখার চেয়ে, বাইরের প্রকৃতি অনেক বেশি প্রফুল্ল করছে মনকে।

গরমে হয়ে যান যাযাবর

বিদ্যুৎ নেই মানে ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার নেই। গ্রীষ্মকালে বেশিরভাগ মানুষের কাছে সবচেয়ে কঠিন বাস্তবতার একটি।

বেশির ভাগ মানুষেরই গ্রীষ্মের রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয়। তাই বিছানায় যাওয়ার আগে হালকা গোসল নিন। এতে শরীর দীর্ঘক্ষণ শীতল থাকে। দিনের বেলায় বালতিতে পা চুবিয়ে রাখুন। এতেও মিলবে দারুণ স্বস্তি। আর এসবে কাজ না হলে, প্রকৃতির কাছাকাছি কয়েকদিনের জন্য ঘুরে আসুন। মনে রাখবেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা কিন্তু যাযাবর ছিলেন।

সময়মত কাজ করা প্রয়োজন

মোমবাতির আলোয় রাতের খাবার রান্না করা খুব একটা মজার নয়। তাই দিনের আলো ব্যবহার করার জন্য আপনার সময়সূচি সামঞ্জস্য করতে শিখুন। এতে আপনার দেহঘড়িও ঠিক থাকবে।

জিমে যাওয়ার কী দরকার

আধুনিক জীবনের অদ্ভূত বাস্তবতা হলো জিমে যাওয়া। মনে রাখবেন, আমাদের দাদা-দাদিরা শরীরচর্চার জন্য জিমে দৌড়াতেন না। তারা বরং দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে এই কসরত সারতেন।

বিদ্যুৎহীন জীবনে আপনাকে অনেক কাজ ম্যানুয়ালি করতে হয়। এসব কাজ কিন্তু খুব সহজ নয়। হাত দিয়ে কাপড় ধোয়ার পর দেখবেন আপনার হৃদযন্ত্র সত্যিই দুর্দান্ত হয়ে উঠেছে। ভারী কিছু উঠা বা নামানোর জন্য বন্ধদের না ডেকে, আস্তে আস্তে নিজেই তা করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর চমৎকার কাঠামো পাবে। তবে শারীরিক কোনো জটিল রোগ থাকলে, এসব থেকে দূরে থাকাই ভালো।

ধীরে ধীরে খাবারের স্বাদ ভালো হয়

রান্নার জন্য কাঠের চুলা জ্বালাতে একটু সময় লাগে। সোলার ওভেনে বেক করাও ধৈর্যের ব্যায়াম। আমরা যাকে ‘মাইক্রোওয়েভ জেনারেশন’ বলি, তাদের জন্য অবশ্য এসব অনেক কঠিন, বিরক্তিকর এবং হতাশাজনক। তবে ভালো কিছু তারাই পাবে, যারা অপেক্ষা করে!

প্রতিবন্ধকতা বুদ্ধিমত্তা বাড়ায়

কোনো সমস্যা না হওয়া পর্যন্ত কেউ সমাধান বের করতে পারে না। বিদ্যুৎ ছাড়া জীবনযাপনের শুরুতে নানা সমস্যা দেখা দেবে…এটা নিশ্চিত। খেয়াল করে দেখবেন, বিদ্যুৎ ছাড়া বসবাসকারী মানুষরা প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জের সৃজনশীল সমাধান খুঁজে পেতে আপনার চেয়ে বেশি মস্তিষ্ক ব্যবহার করে।

পরিবারের সদস্যরা আসলে চমৎকার, আকর্ষণীয়!

টিভি, ইন্টারনেট এবং কয়েক ডজন গ্যাজেটের বিভ্রান্তি ছাড়া কবে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন? আজকের আধুনিক বিশ্বে এমনটা খুব কমই ঘটে।

প্রতিদিন সন্ধ্যার অন্ধকারে কয়েক ঘণ্টা পারিবারিক বন্ধনে নিজেকে জড়িয়ে দেখুন; শৈশবের নির্মল আনন্দ লুকিয়ে আছে সেখানে।

আপনার মন্তব্য লিখুন