ঢাকাশুক্রবার , ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ময়মনসিংহে বাবা হওয়ার খবর শুনে স্ত্রীকে তালাক!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জিল্লুর রহমান।। ময়মনসিংহের নান্দাইলে স্বামীকে মোবাইলে নবজাতকের সুখবর দিয়ে তিন তালাক শুনলেন গৃহবধূ ছোলেমা খাতুন। তিনি উপজেলার মুশল্লী ইউনিয়নের উত্তর মুশল্লী গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে এবং দুই কন্যা সন্তানের মা।

অভিযুক্ত স্বামীর নাম স্বামী রুবেল মিয়া। তিনি একই উপজেলার সিংরাইল ইউনিয়নের দিলালপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এ ঘটনায় স্বামীকে অভিযুক্ত করে নান্দাইল মডেল থানায় বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রয়ারি) লিখিত অভিযোগ করেছেন ছোলেমা খাতুন।

ছোলেমা খাতুন জানান, ৯ বছর আগে রুবেল মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে। স্বামী ঢাকার মিরপুরের এক ব্যবসায়ীর প্রাইভেট গাড়ির চালক। চাকরি করার সুবাদে বিয়ের পর থেকে ঢাকাতেই বসবাস শুরু করেন। সেখানে কয়েক মাস বসবাস করার পর জানতে পারেন, রুবেল মিয়া আগেও আরেকটি বিয়ে করেছেন। এর প্রতিবাদ করতেই শুরু হয় ছোলেমার ওপর অত্যাচার। এক পর্যায়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হয়ে ঢাকার কাঁচপুর এলাকায় একটি পোশাক কারাখানায় চাকরি নেন।

সেখানেও পিছু ছাড়েননি রুবেল। একসময় রুবেলের অনুনয়-বিনয়ে আবারো একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন তারা। এরই মাঝে জন্ম নেয় এক কন্যাসন্তান। এভাবেই কেটে যায় ছয় বছর। ছোলেমা খাতুন আবারো অন্তঃসত্ত্বা হলে টাকার জন্য নির্যাতন শুরু করেন রুবেল। টাকা দিতে না পারলেই তালাকের হুমকি দিতেন। এমতাবস্থায় কোনো উপায় না দেখে মায়ের কাছ থেকে অনেক কষ্টে কিছু টাকা এনে দেন রুবেলকে।

ছোলেমা আরও জানান, এভাবে প্রায়ই টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন। এক পর্যায়ে নিজের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে দেন। তারপরও বাড়তে থাকে অত্যাচার। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে আসেন। বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় গত জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখে জন্ম নেন আরেকটি কন্যাসন্তান।

এরমধ্যে ছোলেমা গত ১৯ জানুয়ারি সকালে ফোন করে সন্তানের খবর দিলে অকথ্য গালিগালাজ করেন রুবেল। শুধু তাই নয়, আর ফোন না দেয়ার হুমকি দিয়ে সম্পর্ক রাখবেন না বলেই পরপর তিন তালাক দেন। এ ঘটনার পর শত অনুরোধেও মন গলেনি তার। এরপর থেকে ছোলেমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন রুবেল।

এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন