ঢাকাশনিবার , ২৭ জানুয়ারি ২০২৪
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ওসি মহসিন সেজে ৭৭১ মেয়ের সঙ্গে চ্যাট!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জানুয়ারি ২৭, ২০২৪ ৯:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:: রাজধানীর তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিনের নামে ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে ৭৭১ জন মেয়ের সঙ্গে চ্যাট করেছিল পঞ্চম শ্রেণীতে ফেল করা আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবক। দীর্ঘদিন ধরে এমন অপরাধ চালিয়ে আসলেও অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে আনোয়ার।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে সাইবার প্রতারণার অভিযোগে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (৩০) নামের ওই যুবককে গাইবান্ধার সদর থানার ইসলাম প্রিন্টিং প্রেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আনোয়ার গাইবান্ধা জেলার সদর থানার খোলাবাড়ি গ্রামের সাইদার হোসেনের ছেলে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।


গ্রেপ্তার আনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ মহসীন (MD Mohshin) নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি চালিয়ে আসছিলেন। আইডিতে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনের মূল আইডির অনুরূপ ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করেন তিনি। মেসেঞ্জারে সেই আইডি থেকে তিনি ওসি মহসীন সেজে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে চ্যাট করেন। এদের মধ্যে কারও কারও সঙ্গে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন, কারও কারও সঙ্গে আপত্তিকর ছবি আদান-প্রদান করেন, আবার কারও কারও কাছ থেকে টাকাও দাবি করেন।

তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আনোয়ারের পড়াশোনার দৌড় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। তিনি ওসি সেজে মেয়েদের সঙ্গে চ্যাট করে আসছিলেন। এ পর্যন্ত ৭৭১ জন মেয়ের সঙ্গে মেসেঞ্জারে চ্যাট করেন তিনি। শিক্ষার্থী, গৃহিণী, প্রবাসী, মডেল—সবাই আছেন তাঁর এই তালিকায়। মেসেঞ্জারে কথা বলার পরে হোয়াটসঅ্যাপেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বললেও কারও সঙ্গে ভিডিও কলে আসতেন না তিনি। আবার কেউ তাঁকে দেখতে চাইলে কিংবা সন্দেহ করলে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ব্লক করে দিতেন। তিনি মূলত মেয়েদের সঙ্গে আপত্তিকর কথাবার্তা বলতেন। এদের মধ্যে কারও কারও সঙ্গে ছবিও আদান-প্রদান করেছেন। আবার কারও কারও কাছে টাকাও দাবি করেছেন।

ওসি আরও বলেন, আনোয়ার চাকরি করেন ইসলাম প্রিন্টিং প্রেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। চাকরির ফাঁকে ফাঁকেই তিনি ইউটিউব দেখে দেখে ফেসবুকের বিভিন্ন কলাকৌশল শেখেন। এভাবে শিখে শিখেই তিনি বিভিন্ন মানুষের ফেসবুকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দেন। খোলাবাড়ী গ্রাম ও দাশ বেকারি মোড় এলাকায় তিনি ‘ফেসবুক মাস্টার’ নামেই পরিচিত। আইডি, পাসওয়ার্ড হারিয়ে গেলে তা উদ্ধার করা, পেজ ভেরিফিকেশন, রিপোর্ট কিংবা স্ট্রাইক খাওয়া পেজ রিকভারসহ ফেসবুকের যেকোনো সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে ওঠেন আনোয়ার।

আপনার মন্তব্য লিখুন