ঢাকারবিবার , ২১ নভেম্বর ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে করোনা চিকিৎসার শয্যা!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
নভেম্বর ২১, ২০২১ ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তাহমিনা আক্তার,ঢাকা ব্যুরোঃ দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমেছে। এই অবস্থায় রাজধানীর বিভিন্ন করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসকরা অন্যান্য রোগী দেখা শুরু করেছেন। তাছাড়া, হাসপাতালের করোনা বিভাগও সংকুচিত করা হচ্ছে।

সূত্র বলছে, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রেলিভার হাসপাতালের কোভিড চিকিৎসকরা সাধারণ রোগী দেখা শুরু করেছেন। এসব হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় পড়ে থাকা শয্যাগুলোকে নন-কোভিড ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা ইউনিটে পদায়ন থাকায় এতদিন হাসপাতলের অন্যান্য রোগী দেখা আমাদের নিষেধ ছিল। কিন্তু গত এক মাস ধরে রোগী কমে যাওয়ায় ও করোনার প্রকোপ কম থাকায় আমরা নন-কোভিড রোগী দেখা শুরু করেছি।’

হাসপাতালটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, করোনা রোগী কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ তারা রোগী দেখার অনুমতি পেয়েছেন। করোনা ইউনিটে ডিউটিতে থাকলে ২ দিন তারা রোগী দেখতে পারেন না। তবে ডিউটি না থাকলে রোগী দেখেন।

সূত্রটি আরও জানায়, এই অবস্থায় হাসপাতালটির করোনা ইউনিটও সংকুচিত করে আনা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে সংকুচিত করার কথা বলা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের অন্যান্য বিভাগে বা তাদের নিজেদের বিভাগে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, এই হাসপাতালে আগেও করোনার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়া হতো। এখন করোনা রোগী কমে যাওয়ায় সেই বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের অন্যান্য বিভাগে পাঠানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লিখিত পাওয়ার পর করোনা শয্যাগুলোকে সাধারণ শয্যার পরিণত করার কাজ চলছে। চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে তাদের বিভাগের রোগী দেখা শুরু করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশের করোনা হাসপাতালগুলোর ৯০ ভাগের বেশি শয্যা ফাঁকা। শুধু ঢাকা মহানগরীতে শয্যা আছে ৩ হাজার ৬৬৯টি, যার মধ্যে ৩ হাজার ৩১৮টি ফাঁকা। আইসিইউ ৩৮৮টি, যার মধ্যে ৩২৯টি ফাঁকা। বেসরকারি ডেডিকেটেড হাসপাতালের সাধারণ শয্যা আছে ১ হাজার ৪৭২টি, যার মধ্যে ফাঁকা আছে ১ হাজার ৪৩৩টি। আইসিইউ আছে ৩৯২টি, ফাঁকা আছে ৩৫৮টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল পরিচালক ডা. ফরিদ মিয়া বলেন, করোনার প্রকোপ যেহেতু কম, তাই কোভিড বিভাগ সংকুচিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কোনো হাসপাতালকেই করোনা চিকিৎসা সম্পূর্ণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে কিছু শয্যা রেখে বাকি শয্যাগুলোকে নন-কোভিড ঘোষণা করে দিতে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল কবে নন-কোভিডে পরিণত হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এই সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।

মহাখালী হাসপাতালের বেডগুলো কি হবে? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যত শয্যা আছে সব ওখানেই থাকবে। যদি করোনা আবার বৃদ্ধি পায় তবে যেন ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া, বিভিন্ন হাসপাতাল কোভিড বিভাগ সংকুচিত করে ফেললেও প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোকে আবার কোভিডে রূপান্তরিত করা হবে।

আইসিইউগুলোর কি হবে? প্রশ্নের উত্তরে ডা. ফরিদ বলেন, আইসিইউগুলো কোভিড রোগীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। এগুলো নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিশ্বের কোথায় করোনাভাইরাসের কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তবে ২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের শুরু থেকে যারা কাজ করছেন তারা বেশ অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। সেই সব চিকিৎসককে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে বা ইউনিটে দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুর দিকে সংযুক্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এসব চিকিৎসক ও নার্সদের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটি সূত্র জানিয়েছে, নার্স ও চিকিৎসকদের তাদের আগে বিভাগে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে। হাসপাতালের মধ্যেই যেহেতু তাদের বিভাগ এতে সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালটির চিকিৎসক ও নার্সদের আগের জায়গায় ফেরত পাঠাতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন