ঢাকাসোমবার , ৮ এপ্রিল ২০২৪
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চোখ উৎপাটনকারী কৃষকদল নেতা এখনো গ্রেফতার হয়নি!মামলা তুলতে বাদীকে হুমকি

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
এপ্রিল ৮, ২০২৪ ১১:১০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট। লালমনিরহাটে কলেজ শিক্ষার্থী আনিছুর রহমানের (১৮) চোখ উৎপাটনকারী কৃষকদল নেতা আলমগীর হোসেন (৩৪) গ্রেফতার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন ভুক্তভোগি পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের। কৃষকদল নেতার পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে চোখ হারানো কলেজ শিক্ষার্থীর পরিবারকে। এ ঘটনায় খানায় জিডি করা হয়েছে।

চোখ হারানো কলেজ শিক্ষার্থী আনিছুর রহমান বাউড়া ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাউড়া পুণম চাঁদ ভূতুরিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত কৃষকদল নেতা আলমগীর হোসেন একই গ্রামের সাদেক হোসেনের ছেলে। তিনি বাউড়া ইউনিয়ন কৃষকদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক।

পুলিশ জানায়, গেল বছর ১১ নভেম্বর দুপুরে কৃষকদল নেতা আলমগীর তার লোকজন নিয়ে মফিজুল ইসলামের ৯ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। জমি দখলকারীদের বাঁধা দেওয়ায় মফিজুল ও তার স্ত্রী আনজু আরা বেগমকে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ খবর পেযে কলেজ শিক্ষার্থী আনিছুর তার বাবা-মাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এসময় আনিছুরকে আটক করে মারধর করার পর ধারাল ছুরি দিয়ে তার ডান চোখ উৎপাটন করা হয়। স্থানীয লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ১০ জনের নামে থানায় মামলা করা হয়।

চোখ হারানো কলেজ শিক্ষার্থী আনিছুর রহমান বলেন, আমাকে এখন সবসময় চোখে সানগ্লাস পড়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। আমি ডান চোখ চিরতরে হারিয়েছি। আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েছি। লেখাপড়া শিখে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন ছিলো। চোখ হারানোর পর সে স্বপ্ন অনেকটা দু:স্বপ্নে পরিনত হয়েছে। আমি বেঁচে আছি খুব কষ্টে।

আনিছুরের বাবা মফিজুল ইসলাম বলেন, গেল চার মাস বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের হাসপাতালে ছেলের চোখের চিকিৎসা করেছি। অনেক টাকা ব্যয় করেছি কিন্তু তার চোখ ফিরিয়ে আনতে পারিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আনিছুরের ডান চোখ চিরতরে জন্য নষ্ট হয়েছে। মাত্র ৯ শতক জমি জোরপূর্ব দখল করতে এসে তারা আমার ছেলের চোখ উৎপাটন করেছে। এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্তকৃষকদল নেতা আলমগীর এখনো গ্রেফতার হয়নি। তার পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। গত ১১ মার্চ থানায় জিডি করেছি। আসামী ও তাদের লোকজন প্রভাবশালী। তারা যেকোন সময় আমাদের ক্ষতি করতে পারে।

আনিছুরের মা আনজু আরা বেগম বলেন, আমাদের ছেলে চোখ হারিয়েছে। এটা সহ্য করতে পারছি না। আনিছুর সবসময় কাঁদে। এতে আমাদের কষ্ট বেড়ে যায়। সন্তানের এক চোখ নেই। এটা ভেবে কোনদিনই রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি না।

পাটগ্রাম থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) রমজান আলী জানান, মামলার ১০ জন আসামীর মধ্যে ৮ জন জামিনে রয়েছেন। কৃষকদল নেতা আলমগীরসহ ২ জন এখনো পলাতক রয়েছেন। তাদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে। কলেজ শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। হুমকি দেওয়ার জিডি তদন্ত করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন