অতিথি পাখির কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের হরেরাম গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সতি নদী এলাকা।
আসামের দুয়ার খ্যাত দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সুন্দর্যে ঘেরা লালমনিরহাট জেলা হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় প্রতি বছর শীত অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেকটা আগে ভাগেই আসে। তবে শীত আগে এলেও এবছর অতিথি পাখিরা এসেছে পরে।
সরেজমিনে লালমনিরহাট শহর থেকে প্রায় ৩০ কিঃমি পশ্চিমে কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের হরেরাম গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত মৃত প্রায় সতি নদীতে পানি না থাকায় নদী বুকে গজিয়ে উঠা ঘাসের মাঝেই খাবার সংগ্রহ করতে দেখা গেছে অতিথি পাখির ঝাঁক গুলোকে। বাসা বেধেছে নদী পারে অবস্থিত জনৈক কালু মিয়ার বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড় ও রাস্তার পাশের সারিবাঁধা বড় বড় গাছ গুলোতে ঐ এলাকার প্রকৃতি প্রেমিরা সকাল-বিকেল ভির জমাচ্ছে সতি নদীপাড়ে।
যেসব পাখি আগে শীত কালে এ অঞ্চলে দেখা যেতো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বালিহাঁস, খয়রা, চখাচখি, হেরন, ডুবুড়ি পাখি, কাদা খোচা, রাজ সরাসি, পান্তা মুখিসহ আরো অন্যান্য পাখি।
এবছর পাখির পরিমান কম কেন জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানান, গত বছরেও এখানে বিভিন্ন প্রজাতীর বাহারি রঙ্গের পাখি শীতকালে ঝাঁকে ঝাঁকে এসে বাসা বাঁধতো কিন্তু বর্তমানে পাখি শিকার, জলবায়ুর পরিবর্তন সহ নানা কারনে আগের ঐ পাখি গুলোকে এখন দেখা যায়না।
বিশেষজ্ঞ মহল বলছেন পাখি শিকার অনেকাংশে কমে গেছে তবুও আশঙ্কা জনক ভাবে পাখির পরিমান কমের যাওয়ার কারন গুলো চিহ্নিত করে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশা-পাশি জনসচেতনতার মাধ্যমে অতিথি পাখি শিকার সম্পূর্ণ রুপে বন্ধ করতে হবে।