ঢাকাশুক্রবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২০
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাটে দিগন্ত জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ডিসেম্বর ২৫, ২০২০ ৫:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লালমনিরহাটে দিগন্ত জুড়ে সেজেছে সরিষা ফুলের সমারোহ। ফুলের সঙ্গে মৌমাছির গুঞ্জন শুনতে বেশ ভালো লাগে। সরিষার মাঠে গেলে ফুলের গন্ধে মন ভরে ওঠে। হলুদ রং মন কেড়ে নেয়। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না হলে এ বছর লালমনিরহাটে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মাঠে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে সরিষার আবাদ হয়। ফলনও হয় বেশ ভালো। আমন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে কৃষক কোমর বেঁধে মাঠে নামেন সরিষা চাষাবাদ করতে। এক সময় লালমনিরহাটে আমন ধান কাটার পর বিস্তৃর্ণ জমিগুলো পড়ে থাকত। কিন্তু বর্তমানে লালমনিরহাটে আমন ধানের জমিতে সরিষা চাষাবাদ হচ্ছে। কৃষকরা আশা করছেন কোনো রোগবালাই বা প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে। লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলায় সরিষার ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কাকেয়া টেপা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান, এ বছর তিনি ১বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার রোগবালাই দেখা দেয়নি। প্রাকৃতিক কোনো দূর্যোগ না হলে বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৬ মন হারে সরিষার ফলন হবে।
আদিতমারী উপজেলার মহিশ্বাসর গ্রামের কৃষক তমিজ উদ্দিন জানান, সরিষা চাষাবাদের পরই জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা যায়। এতে জমিতে সার কম লাগে। তাছাড়া সরিষার পাতা ও শিকড় সবুজ সারের কাজ করে এবং বোরো ধানের ফলনও ভালো হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলার শিয়াল খোয়া গ্রামের কৃষক জামান মিয়া জানান, সরিষার চাষে লাভ বেশি খরচ কম। তাছাড়া সহজেই বিক্রি করা যায়। অন্যান্য ফসলের মত ভোগান্তি পোহাতে হয়না, তাই প্রতি বছর সরিষা চাষাবাদ করি। এ বছরে আমি প্রায় ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি।
হাতিবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী গ্রামের কৃষক শ্রী দেবনাথ রায় জানান, তিস্তা নদীর পানি নেমে যাওয়ার পর প্রতি বছর আমি চর এলাকায় একবিঘা জমিতে সরিষা চাষাবাদ করে আসছি। অল্প খরচে অধিক মুনাফা পাচ্ছি। সরিষা চাষাবাদ করে পরিবারের সব খরচ মেটাতে পারছি।

পাটগ্রাম উপজেলার সরকারের হাট গ্রামের শফিকুল মাষ্টার জানান, সরিষা হলো লাভ জনক ফসল, তাই অনেক আগ থেকে আমি সরিষা চাষাবাদ করি। তাছাড়া বাবা-দাদার আমল থেকে আমরা সরিষাচাষি হিসাবে এলাকায় পরিচিত। বলা যায় সরিষা আমাদের আদি ফসল। তাই প্রতিবছর সরিষা চাষ করে থাকি।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ৫ উপজেলায় ২হাজার ১ শত ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সব সময় তদারকি করা হচ্ছে। এবারে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন