ঢাকাশনিবার , ১২ ডিসেম্বর ২০২০
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাযু পথ নেই: চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চায় অসহায় পরিবার!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ডিসেম্বর ১২, ২০২০ ৮:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দুই বছরের ছোট্ট শিশু মিম। দরিদ্র হোটেল কর্মচারির পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান। জন্মগত মলদ্বার সংকোচন ক্রটি নিয়ে জন্মেছে। জম্মগত ভাবে পাযুপথ নেই। শিশুটি জন্মেপর হতে স্বাভাবিক ভাবে মলত্যাগ করতে পারেনি। শিশু মিম কে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসকগণ পায়ুপথের মলদ্বারে নাড়টি তল পেট ফুঁটো করে বাহির করে দিয়েছে। সেই থেকে সে বিকল্প পায়ুপথ দিয়ে মলত্যাগ করে বেঁচে আছে। এভাবে দুই বছরে শিশুটি যন্ত্রনা নিয়ে বেঁচে আছে।

শিশুটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে পায়ুপথে প্রতিস্থাপন করতে পর পর দুই/তিনটি মেজর অপারেশন করতে হবে। এতে শিশুটির মৃত্যু ঝুঁকি থাকলেও সার্জারি তাঁর জন্য একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি। এই ব্যয় বহুল অপারেশন দেশের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ইউনিটের সার্জিক্যাল বিভাগেই সম্ভব। এই অপারেশন ও ঔষধ পথ্যে খরচ প্রয়োজন প্রায় ২ লাখ টাকা।

বর্তমানে শিশুটি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু – কিশোর সার্জারি বিশেষজ্ঞ সহকারি অধ্যাপক শিশু সার্জারি বিভাগ ডাঃ মোঃ মাহাফুজুল হক মানিক এর তত্বাবোধানে রয়েছেন। শিশুটি দরিদ্র বাবা মার পক্ষে এই চিকিৎসা ব্যয় বহন করার মত কোন উপায় নেই। শিশুটি অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় ধূকে ধুকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে পায়ুপথে বিকল্প মলদ্বারে প্রতিস্থাপন করলে শিশুটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। এধরণের সমস্যা নিয়ে অনেক শিশু জন্মে। কিন্তু অপারেশন পর শতভাগ সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। তাই দরিদ্র বাবা মা শিশুটির চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে সমাজের বিত্তবান মানুষ, প্রতিষ্ঠান ও সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা চাচ্ছে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট শহরের পৌরসভাধীন পূর্ব খুটামারা (নবীনগর) গ্রামের হোটেল শ্রমিক লিমন হোসেন (৩২) ও নুর জাহান বেগম (২৭) এর সংসারে ২ বছর আগে আলো করে মিমের জন্ম হয়। এই পরিবারের আরেক পুত্র সন্তান রয়েছে। তাঁর বয়স ৫ বছর। সে স্বাভাবিক ও সুস্বস্থ্য। কিন্তু মিম জম্মগত ভাবে অস্বাভাবিক।

তাদের জমি-জমা বলতে কিছুই নাই। বাড়ি বলতে রাস্তার পাশে খাস জমিতে ঝুঁপড়ি ঘর। মিম জন্মের কয়েক ঘন্টা পর শিশুটি মায়ের বুকের দুধ পান করে। মা শিশু কে স্তন পান করিয়ে তৃপ্তির হাসি ফুটে ছিল মুখে। যাক তাঁর সদ্য জন্ম দেয়া শিশু সন্তান টি সুস্থ আছে। বুকের দুধ স্বাভাবিক ভাবে পান করছে। মায়ের মুখের হাসি বেশি সময় মুখে ধরে রাখতে পারেনি। কয়েক ঘন্টা পর শিশুটি কান্না কাটি শুরু করে দেয়। তাঁর পেট ফুলে যায়। কোন কিছু বুঝে উঠতে না পেরে তাঁকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কোন রোগ ধরতে পারেনি। তাঁকে দুইদিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে শিশুটিকে চিকিৎসকগণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। সেখানে ধরা পরে শিশুটির মলত্যাগের পায়ুপথ নেই। যার ফলে মলত্যাগ করতে না পেরে পেটের যন্ত্রনায় শিশুটি সারাক্ষণ কেঁদেই চলেছে। তাঁকে বাঁচাতে মল ত্যাগের পায়ুপথটি বিকল্প ভাবে স্থাপন করে। পেট ফুঁটো করে রাহিরে। তখন হতে শিশুটি যন্ত্রনা নিয়ে বেঁচে আছে। দরিদ্র মা বাবার এই দুই বছরে শিশুটির চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। ধার দেনা করেছে। স্থানীয় এনজিও হতে ঋণ নিয়েছে। গ্রামবাসীরা এখন সামান্য সহায়তা করেছে। এভাবে বেঁচে আছে। এখন কাজ না থাকায় ধার দেনা ও ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। শিশু মিমের পায়ুপথ পেটের ওপর ফুঁটো করে বাহিরে বের করে দেয়া আছে। যার ফলে শিশুটিকে সব সময় কোলে কোলে রাখতে হয়। যাতে করে ধুলা ময়লা ও মশা মাছি উম্মুক্ত মলদ্বারটিতে না পড়ে। কারণ ধূলা বালি ও মশা মাছি পড়লে মলদ্বারটিতে পঁচন ধরে সংক্রামিত হতে পারে। যার পরিনাম মৃত্যু। গজ কাপড় দিয়ে সব সময় মলদ্বারটি ঢেকে রাখতে হয়। পাঁচ দশ মিনিট পর পর সেই ঢেকে রাখা কাপড় পরিবর্তন করে দিতে হয়।

শিশুটির বর্তমান অবস্থা


শিশু মিমের বাবা লিমন হোসেন ও মা নুর জাহান বেগম জানান, তাদের ঘরে দুই সন্তান, স্বামী স্ত্রী ও বৃদ্ধ শ্বশুড় শ্বাশুড়ি আছেন। ছয় জনের সংসার উর্পাজন ক্ষম ব্যক্তি শুধু মাত্র হোটেল শ্রমিক লিমন হোসেন। তাঁর দৈনিক আয় মাত্র তিন শত টাকা। যা দিয়ে এই উচ্চ মূলের বাজারে পরিবারের ছয় জনের খাবারের প্রয়োজন মিটেনা। অর্ধাহারে অনাহারে তাদের দিন কাটছে। মা দুই লাখ টাকার জন্য শিশুটি বিনা চিকিৎসায় চোখের সামনে মারা যাবে। মা বাবা সইতে পারবেনা। যারা ব্যক্তিগত সহায়তা করতে চান। তাদেও জন্য শিশুটির বাবার ব্যাংক এক্যাউন্ট অগ্রণী ব্যাংক লিঃ এাকাউন্ট সঞ্চয়ী -০২০০০১৬১৩০৬৬৮ মিশন মোড় শাখা, লালমনিরহাট।

নগদ এ্যাকাউন্ট- ০১৭৫১৪৭৮২৬২,
বিকাশ – ০১৫৫৮৭৬৮৬৯৭।

আপনার মন্তব্য লিখুন