ঢাকাশনিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

১ টাকায় ৩০ বছর ধরে শিঙাড়া নাস্তার চাহিদা মেটাচ্ছে ছলেমান হোসেন!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ডিসেম্বর ২৬, ২০২০ ৩:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কুষ্টিয়ার পোড়াদহে মাত্র ১ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে শিঙাড়া। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির ভেতরে ১ টাকার শিঙাড়া নাস্তার চাহিদা মেটাচ্ছে মহল্লার শিশু ও সকল বয়সের মানুষের। ১ টাকার শিঙাড়া বিক্রেতা মানুষটার নাম ছলেমান হোসেন, যিনি জীবনের ৭০ টি বছর অতিবাহিত করে এখন আমৃত্যু ১ টাকায় শিঙাড়া বিক্রি করে যেতে চান।

কয়েকটি গণমাধ্যমে তার ১ টাকার শিঙাড়ার কথা প্রচারিত হলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যান এই প্রবীণ শিঙাড়া বিক্রেতা।
এলাকার লোকেরা তাকে চেনে ছলেমান চাচা নামেই। চিনবে নাই বা কেন, তিনি যে ৩০ বছর ধরে ১ টাকায় সিঙ্গারা বিক্রি করে চলেছেন। মুচমুচে শিঙাড়া একটি কাঁচঘেরা বাক্সে ভরে তা ফেরি করেন ছলেমান। ছলেমানের শিঙাড়ার ভক্তরাও তার কাছ থেকে বছরের পর বছর ধরে ১ টাকায় শিঙাড়া কিনতে পেরে খুশি।
তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ছলেমানের সংসার। দুই ছেলে আলাদা সংসারে থাকেন। স্ত্রী ও মেয়ের সাথে থাকেন তিনি। ১৯৭২ সাল থেকে তার শিঙাড়ার ব্যবসা শুরু। বাড়ি কুষ্টিয়া হলেও তিনি চুয়াডাঙার বিভিন্ন ট্রেনে ফেরি করে শিঙাড়া বিক্রি করেন।
শিঙাড়া বিক্রেতা হলেও তার জীবন দর্শনের অনেকটা বোঝা যায় তার কথায়। তিনি বলেন, ‘গরিব ছোট ছোট শিশুদের কথা ভেবে দাম এক টাকাই রাখছি। যত দিন সিঙ্গারা বিক্রি করব, দাম এক টাকাই রাখব।’

বর্তমানে প্রতিদিন ৮০০টি সিঙ্গারা তৈরি করেন ছলেমান। যা দুপুরের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। বিক্রি শেষে যা লাভ হয়, তাতেই চলে যায় সংসার। উচ্চাভিলাষ না থাকায় সংসারে নেই তেমন টানাপোড়েন। সকাল ১০টার পর থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার শিশু ও নারীরা ছলেমানের সুস্বাদু সিঙ্গারার অপেক্ষায় থাকেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়লেও তার সিঙ্গারার কেন দাম বাড়েনি, এমন প্রশ্নের জবাবে বৃদ্ধ ছলেমান চাচা বলেন, যাদের পাঁচ টাকা দামের সিঙ্গারা কেনার সামর্থ্য নেই, কিন্তু খেতে মন চায়, তাদের জন্যই দাম বাড়াইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন