ঢাকাশনিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অনিয়মের আঁতুড় ঘর সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ ৩:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মনজু হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার/সাইদুজ্জামান রেজা পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ অনিয়মের আঁতুড় ঘর পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি।
স্কুলটির শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ ও ভুয়া সনদে একাধিক শিক্ষকের শিক্ষকতা,ফরম পূরনের টাকা আত্মসাত, স্কুলের জমি ব্যক্তি ক্ষমতায় ৯৯ বছরের লিজ প্রদান, বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম। এই অনিয়মের বোঝা নিয়েই চলছে স্কুলটি। তবে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি যথাযথ অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ায় আশ্বাস দেন।


সূত্র জানায়,১ ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক হিসেবে সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজা দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। তবে অভিযোগ রয়েছে, স্কুলের এডহক কমিটি থাকাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের আবেদনের জন্য ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন অথচ সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজা ৮ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা দিয়েই প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ পেয়েছেন।কৌশলে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখিয়ে, আর কোন যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজাকে নিয়োগ কমিটি সুপারিশ করেন।যদিও আরো দুইবার পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার বিধান রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় একের পর এক অনিয়ম দূর্নীতি।
গত ১৪ জুলাই ২০১১ সালে কৃষ্ণা রানী রায় কে হিন্দু ধর্মে নিয়োগ দেওয়া হয়।


পরে এমপিও ভুক্তির আবেদন করলে কৃষ্ণ রানী রায়ের নিয়োগের ব্যাখ্যা চেয়ে ৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর,ঢাকা সহকারি পরিচালক (ক-৪) আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী এ নির্দেশনা দেন।
পরে প্রধান শিক্ষক কৌশলে আবার ১৩ মার্চ ২০১৪ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দেখিয়ে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। তবে নিয়োগটিতে ডিজির প্রতিনিধির কোন চিঠি ছিল না, কোন পরীক্ষাও হয়নি এমন কি তৎকালীন সভাপতি শিবেন্দ্র নাথ দে শিবু বলতে পারছেন না পরীক্ষার বিষয়ে। তিনি কোথাও স্বাক্ষর ও করেননি বলে জানান। সেই নিয়োগে সমাজবিজ্ঞানে এমপিও ভুক্ত হয়ে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন কৃষ্ণা রানী রায়। তবে কিভাবে পুনরায় নিয়োগ ও এমপিও ভুক্ত হওয়ার বিষয়ে কৃষ্ণা রানী রায় জানান, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ভাল জানেন।
সহকারী শিক্ষক হকিকুল ইসলাম ২০০৪ সালে বাণিজ্য বিভাগে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ আট বছরেও এমপিও ভুক্ত হতে না পেরে। পরে প্রধান শিক্ষক ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে সমাজবিজ্ঞানে ২০১২ সালে এমপিও ভুক্ত করেন।
আরেক সহঃ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ গাজী ১০ডিসেঃ ২০১১ বিজ্ঞানও গনিত বিভাগে নিয়োগ প্রাপ্ত হন কিন্তু প্রধান শিক্ষকের দেওয়া তথ্য মতে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তী ভুয়া ও ডিজির প্রতিনিধির চিঠি পাওয়া যায়নি। স্কুলটির তৎকালীন সভাপতি বলছেন আমি নিয়োগ দেইনি প্রধান শিক্ষক কিভাবে নিয়োগ দিয়েছেন আমি জানি না।


তবে প্রধান শিক্ষকের দাবী সহঃ শিক্ষক হকিকুলের বিষয়ে মন্ত্রনালয় ভুল করেছে, আমরা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছি।
এদিকে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষাথীদের ফরম পুরনের ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮০ টাকা উত্তোলন করে লাপাত্তা হয় প্রধান শিক্ষক। এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও সভাপতির পরামর্শে জিডি করেন সহঃ প্রধান শিক্ষক। ফরম পুরনের টাকা বোর্ডে জমা দেয়ার শেষ তারিখেও প্রধান শিক্ষকের সাথে কোন যোগাযোগ করতে না পেরে, সহকারী প্রধানসহ অন্য শিক্ষকরা ধারদেনা করে পরীক্ষাথীদের ফরমপূরন করেন। এটা তদন্তে প্রমাণিত হলেও কোন ব্যবস্থা হয়নি তার বিরুদ্ধে।
স্কুলের সম্পত্তি ৯৯ বছরের লিজ ও প্রায় ৩০ বছরের অগ্রিম ভাড়া নিয়ে অর্থ স্কুলের হিসাব শাখায় জমা না করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন। এমনকি অগ্রনী ব্যাংক মুন্সিরহাট শাখায় স্কুলের হিসাব থেকে ৫ জানুয়ারী ২০২১ইং তারিখে চেক নম্বর ৩৯৬৯২৮০ নাসির নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে ১লাখ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। সে সময় স্কুলের এডহক কমিটি চলমান থাকায়। তার আগের সভাপতির সাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজা জানান, এতো বিষয় ফোনে বলা যাবে না আপনি সামনে আসেন, তবে কোন জাল সনদ বা অনিয়ম নেই স্কুলে।


স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান জানান, আমি স্কুলের সভাপতি হিসেবে নতুন, অনিয়মের বিষয় গুলো আমার জানা নাই। তবে কেউ অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আপনার মন্তব্য লিখুন