ঢাকামঙ্গলবার , ৬ জুলাই ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এবার কোরবানির হাট কাঁপাবে ৩৫ মণের ‘সাহেব’

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জুলাই ৬, ২০২১ ২:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি | এবারের ঈদুল আজহায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে কোরবানির হাটে আসছে ৩৫ মণের ‘সাহেব’। মানিকগঞ্জের সাটুরয়া উপজেলার হরগজ এলাকায় ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি (সাহেব) প্রস্তুত করেছেন খামারি নোমাজ আলী।

আয়েশি চলন-বলন আর খাবারের পসরা দেখেই মনে হবে যেন এক বিশাল রাজকীয় ব্যাপার। প্রতিবছর এই সাটুরিয়ার কোনো না কোনো খামারির গরু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করে থাকে।

তবে এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। সবার মুখে মুখে এখন সাহেবের নাম।

বিভিন্ন এলাকা থেকে সাহেবকে দেখতে খামারি নোমাজ আলীর বাড়িতে ভিড় করছেন সব বয়সী মানুষজন।
দেখা যায়, সাটুরিয়ার হরগজ এলাকায় দরিদ্র কৃষক অতিযত্নে চার বছর যাবত লালন-পালন করছেন ফিজিয়ান জাতের ষাঁড়টিকে।

আদর করে নামও রাখেন সাহেব। তবে নামের সঙ্গে ষাঁড়টির আচার-আচরণেভও রয়েছে বেশ মিল। সাহেবের থাকার ঘরে রয়েছে দু’টি সিলিং ফ্যান আর পাশেই রয়েছে বড় জিপসি স্ট্রানফ্যান। সাহেবের নিয়মিত খাবারের তালিকায় রয়েছে খড়, ভুসি, কাঁচা ঘাস এবং মালটা, পেয়ারা, কলা, মিষ্টি কুমরা। সাহেবকে দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন আসছেন এবং অনেকে আবার নিজের সঙ্গে সেলফিতে ক্যামেরা বন্দি করে রাখছে।

খামারি নোমাজ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, সাহেবকে আমরা চার বছর যাবত লালন-পালন করে আসছি। গত বছরও কোরবানির হাটে বিক্রয় করেনি। সাহেবকে অতি যত্নে লালন-পালন করেছি। সাহেব নাম ধরে ডাকলে মাথা ও কান নাড়িয়ে সাড়া দেয়। বর্তমানে ষাঁরটি লম্বায় ৯ ফুট ৯ ইঞ্চি, পেটের ভেড় ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৬ ফুট। ধারণা করছি, সাহেবের আনুমানিক ওজন ৩৫ মণ। যেহেতু সারাদেশে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউন’ চলছে সেজন্য আমাদের এবারের একটিই চাওয়া সাহেবকে বাড়ি থেকে বিক্রি করার।

নোমাজ আলী আরও বলেন, সাহেবকে নিজের সন্তানের মতো করে প্রায় চার বছর যাবত লালন-পালন করে আসছি। গত বছর লকডাউনের জন্য সাহেবকে বিক্রয় করতে পারিনি। এ বছরও দুঃশিন্তায় আছি। তবে সাহেবকে লালন-পালনে যে টাকা খরচ হয়েছে সে অনুযায়ী এবার দাম উঠলেও দিয়ে দেবো।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মনির হোসেন বলেন, আসন্ন কোনবানির ঈদকে সামনে রেখে বেশ কয়েকজন খামারি কিছু বড় ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন। তার মধ্যে হরগজ এলাকার নোমাজ আলীর ‘সাহেব’ অন্যতম । সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতি অবলম্বন করে ষাঁড়টি ঈদুল আজহার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন ন্যায্য মূল্য পেলে খামার মালিকরা উপকৃত হবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন