ঢাকাশনিবার , ২ জানুয়ারি ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিয়েতে আপত্তি কাকার, আদালতে যাওয়ার পথে গুলি করে যুগলকে খুন!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জানুয়ারি ২, ২০২১ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ভারতে আইনি প্রক্রিয়ায় বিয়ের কাজ কাজ সম্পন্ন করতে আদালতে যাওয়ার পথে খুন হন ওই যুগল। গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির হরিয়ানা রাজ্যের রোহতক জেলার দিল্লি বাইপাস রোডের পাশে এই ঘটনা ঘটে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে আদালতে যাচ্ছিল ওই যুগল। ছেলেপক্ষের আত্মীয়রাও সঙ্গে ছিলেন। আদালতে পৌঁছানোর আগে কথা বলার নাম করে ডেকে এনে রাস্তায় গুলি করে ওই যুগলকে হত্যা করে মেয়ের কাকা ও তার ছেলেরা।

গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২৭ বছর বয়সী পূজার সঙ্গে ২৫ বছর বয়সী রোহিতের সম্পর্ক নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল মেয়ের পরিবারের। প্রেমিক যুগলের দু’জন জাঠ সম্প্রদায়ের হলেও আলাদা আলাদা গ্রামে বসবাস করতেন তারা। অনাথ পূজা ছোট থেকেই কাকার কাছে বড় হয়েছেন। গত কয়েক মাস আগে রোহতক জেলায় এসে রোহিতের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

রোহিতের মা গণমাধ্যমকে জানান, দুই পরিবারে এই বিয়ে নিয়ে প্রথমে আপত্তি ছিল। অনেক বোঝানোর পরে রাজি হয় তার পরিবার। এছাড়া প্রথমে আপত্তি থাকলেও পূজার কাকা কুলদীপ পরে তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন বলে তিনি জানান এবং ওই যুগলকে আশির্বাদ করে বিয়ে দিতে রাজি হন।

রোহিতের মা পুলিশকে বলেন, ‘কথা বলার অজুহাতে আদালতে যাওয়ার আগে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে মেয়ের কাকা ও আত্মীয়রা। এরপর দিল্লি বাইপাস রোডের কাছে জনবহুল বাজারের মধ্যে গুলি চালিয়ে তারা পালিয়ে যায়।’

পুলিশ বলছে, বিয়ের সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য কুলদীপ রোহিতের আত্মীয়দের আদালতে ডেকেছিলেন। পরে বিয়ে সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তাদের মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ডাকেন। রোহিতের পরিবার সেখানে হাজির হলে তাদের গাড়ি নিশানা করে গুলি চালায় কুলদীপ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই রোহিত ও পূজার। এই ঘটনায় রোহিতের ভাই গুরুতর আহত হন।

আপনার মন্তব্য লিখুন