ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দিল্লির চিঠি: একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মানুষের স্পন্দনধ্বনি!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১ ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জয়ন্ত ঘোষাল।। দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঢাকার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সফর উপলক্ষে এক নৈশভোজ হয়ে গেল শুক্রবার। মাসুদ বিন মোমেনের এই নৈশভোজের আয়োজক ছিলেন দিল্লিতে ঢাকার হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান। অনেক দিন পর সেই নৈশভোজে দেখা হলো অনেকের সঙ্গে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা ছিলেন। আবার বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরাও পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে সেখানে হাজির ছিলেন। খুব সৌহার্দমূলক

পরিবেশে ঘরোয়া আলোচনা হলো। ভারতের কূটনীতিক থেকে সাংবাদিক সবাই ছিলেন। শুক্রবারই পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। কনস্যুলার বৈঠক হয়েছে। সেখানে ভিসাসংক্রান্ত যে সমস্ত বাধা কভিডের জন্য কিছুটা আটকে ছিল, সেগুলো ক্রমেই খোলার ব্যাপারে যেমন কথা হয়েছে, তেমন কথা হয়েছে বাণিজ্য থেকে শুরু করে তিস্তাসহ অন্য নদীগুলোর বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদনের বিষয় পর্যন্ত। মাসুদ বিন মোমেন বলছিলেন, এবারের সফর খুবই আশাব্যঞ্জক। ভারত-বাংলাদেশ প্রতিষেধক কূটনীতিতেও অনেক ধাপ এগিয়ে গেছে। সেটা সবটাই সুষ্ঠু সময়ে ঢাকায় পৌঁছেছে এবং পৌঁছবে। সেসবের ব্যাপারে একটা পথনির্দেশিকা তৈরি হয়েছে।

শুক্রবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ঢাকা সফরের বিস্তারিত কর্মসূচি চূড়ান্তের আলোচনা করেছে দুই পক্ষ। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, বৈঠকের আলোচনায় ২০২১ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রস্তুতি এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তির কর্মসূচি ঠিক করার বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।

নৈশভোজে অনেক দিন পর দেখা হলো বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসফি বিনতে শামসের সঙ্গে। তিনি দীর্ঘদিন দিল্লিতেও ছিলেন। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর অনেক দিন পর দেখা হলো। অনেকেই তাঁকে জিজ্ঞেস করছিলেন, ট্যুরিস্ট ভিসার এবার কী হবে? তিনি বলছিলেন, প্রতিটি ভিসার বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। করোনার জন্য যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেটা তো গোটা পৃথিবী জোড়া সমস্যা। ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে আলোচনা করুক। যাতে আগামী দিনে এই ট্যুরিস্ট ভিসার জটও ছাড়িয়ে ফেলা যায়। সে ব্যাপারেও সব রকমের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া বাণিজ্য ও অন্যান্য বিষয়ের ভিসা সেগুলোর জট এরই মধ্যে ছাড়ানো অনেকটা সম্ভব হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খুব সক্রিয় যুগ্ম সচিব স্মিতা পন্থ ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ডেস্কে কাজ করেছেন। মানসিকভাবেও খুব কমিটেড। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের বিশেষ অধিকর্তা অশোক মালিক ছিলেন। তিনিও নৈশভোজে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছিলেন। সবটাই ছিল খুব ঘরোয়া পরিবেশ।

বাংলাদেশ, ভারত অথবা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে এক রক্তাক্ত অধ্যায়ের প্রতিনিধি। ১৯৪৭ সালে ভারত এবং পাকিস্তানের জন্ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গণহত্যাও শুরু হয়েছিল। রক্তপাত, অকল্পনীয় সন্ত্রাসের রাজত্ব। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ জীবন হারিয়ে ছিল। প্রায় আড়াই কোটি মানুষকে ভিটামাটির শিকড় উপড়ে চলে যেতে হয়েছিল অন্য আরেকটা দেশে। নতুন করে বাঁচার তাগিদে। এমন মর্মান্তিক ঘটনা পৃথিবীতে এর আগে কেউ বোধ হয় কোনো দিন দেখেনি। একই ইতিহাস ১৯৭১ সালে। জন্ম নিল বাংলাদেশ। মুক্তিসংগ্রামকে দমন করার লক্ষ্যে পাকিস্তানি সেনার ইতিহাসের একটা জঘন্যতম গণহত্যা দেখা গেল বাংলাদেশের বুকে। এত নিষ্ঠুরতা, তবু প্রতিটি রক্তবিন্দু থেকে জন্ম নিল বাংলাদেশের বিপ্লবী চেতনা, যা পাকিস্তানিরা কোনো দিন ধ্বংস করতে পারেনি। তাদের গণহত্যা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের আকাশে অশুভ বিলাপের মতো। মানবতাবিরোধী এই দ্বিমুখী অপরাধ যারা সংঘটিত করেছিল পাকিস্তানে আজও তাদের শাস্তি হয়নি। সে কথা আজও বহু মানুষ মনে করে।

উপমহাদেশের সাম্রাজ্যবাদ ও তার পরবর্তী ইতিহাস থেকে রক্তের দাগ কিন্তু কখনোই শুকায়নি। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের স্বার্থান্বেষী বিরতিহীন শত্রুতা নিশ্চিত করে রক্তগঙ্গা বইতেই থাকবে। পাকিস্তান আর ভারতের বহুমাত্রিক চমকপ্রদ তথ্য আমরা জেনেছি নানা গ্রন্থ, নানা সূত্র থেকে। সেই সময় বাংলাদেশের জন্ম সূচনায় এই ভারত আর বাংলাদেশের সম্পর্কের দীর্ঘ ছায়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। পাক-ভারত সম্পর্ক দুটি ভিন্ন বিশ্বাসের সংঘাতের ওপরে আজও প্রতিষ্ঠিত। একদিকে পাকিস্তান যেমন ধর্মীয় অন্ধত্ব, অসহনীয়তা এবং সংঘাতকে আপন করে নিয়েছে, অন্যদিকে ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র। একটা বহুত্ববাদ এবং মুক্তচিন্তার সমাজব্যবস্থা। নানাভাবে প্রশ্ন ওঠে, ভারত, পাকিস্তান আর বাংলাদেশ—এই তিনটি দেশের ত্রিভুজ সম্পর্কের কৌশলগত অবস্থান কী হচ্ছে? কী হতে পারে? সেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে বিভাজনের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এই তিনটি দেশ। যাদের একসঙ্গে বলা হতো ভারত উপমহাদেশ। আজ তা কোন রাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে? সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন।

সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে স্মরণ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘তাঁর মতো মানুষ হয় না। তাঁর মতো ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিত্ব বিরল।’ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গঠনের পর দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করে প্রশাসনের কাজ করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি একটা ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গঠনের প্রয়াস চালিয়েছেন। ধর্মনিরপেক্ষ জাতিসত্তার কথা ভেবেছেন। তিনি ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ককেও ধর্মনিরপেক্ষ ভিত্তিপ্রস্তরের ওপরে স্থাপন করেছেন। অমর্ত্য সেনের মতো মানুষের এই উপলব্ধি আজ বোধ হয় আমাদের সবার জন্য বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের চলার পথের পাথেয়।

মুজিববর্ষে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। করোনা আক্রান্ত এই পৃথিবী একটা প্রতিষেধক কূটনীতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের একটা নতুন অধ্যায় সূচিত হচ্ছে। আমরা দেখলাম, ২৬ জানুয়ারিতে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের উৎসবে প্রথম বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ১২২ জনের কনটিনজেন্ট যোগ দিল। বাংলাদেশ সেখানে নেতৃত্ব দিল। বাংলাদেশের সামরিক ব্যান্ড বাজল এবং ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে’ গানের তালে তালে অর্কেস্ট্রার ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ল আকাশে-বাতাসে। ১৯৭১ সালের বিজয়বার্তা উপস্থিত প্রত্যেক মানুষের মধ্যে প্রবাহিত হলো। ঠিক সেই সময়ে ফ্লাইপাস্ট হলো। আকাশে একটা পুরনো ডাকাটো বিমান চক্কর দিল। এই যুদ্ধবিমানটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি। সব মিলিয়ে অভিনব অভূতপূর্ব পরিবেশ। একই সময় বিজ্ঞান ভবনে চলছে শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রদর্শনী। সেই প্রদর্শনীতে আছে নানা দুর্লভ ঐতিহাসিক ছবি। সেই ছবিতে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আর শেখ মুজিবুর রহমানের পারস্পরিক যৌথ অঙ্গীকারের স্মৃতি।

এ রকম একটা পটভূমিতে দুঃখ হয় যখন দেখি সংবাদপত্রেও বিরূপ মত প্রকাশ পায়। কিছু কূটনীতিক কিছু সাংবাদিকের শুধু মনে হয় যে ‘জয় করে তবু ভয় কেন তোর যায় না।’ কেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে শেখ হাসিনা দেখা করলেন সে কথা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের উৎসবে ১৯৪৭ সালের প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত কেন আমন্ত্রণ জানানো হলো না—এই বিষয়গুলোকে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়। তখন মনে প্রশ্ন জাগে, যে সম্পর্কটা একটা শক্তপোক্ত বন্ধুত্বের ভিত্তিপ্রস্তরে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেই অট্টালিকাকে কতগুলো কুযুক্তি দিয়ে বোধ হয় বিনষ্ট করা যায় না। পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত যদি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন, তাহলে ভারতীয় কূটনীতি পীড়িত হয় না। বরং এই উপমহাদেশের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য শেখ হাসিনার সঙ্গে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হওয়াটা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। শেখ হাসিনা যখন চীন সফরে গেছেন, তাতে ভারত বিচলিত হয়ে উঠেছে এমন কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। আজ বোঝা যাচ্ছে সেটা সর্বৈব অসত্য। বরং প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে চীনকে গুরুত্ব না দিয়ে ভারতের প্রতিষেধকের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা। ভারতে অত্যন্ত সুপ্রভাব ফেলেছে। সুতরাং কোনোভাবেই ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ককে টলানো যাবে না। আগামী দিন তা আরো মজবুত হবে। সম্পর্কের ভিত্তি আরো শক্তিশালী হবে। অনেকে অবশ্য ভেবেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা তাঁরা ভারত আর বাংলাদেশের সম্পর্কটা কংগ্রেস এবং আওয়ামী লীগের নিরিখে দেখতে চেয়েছিলেন। অনেক কূটনীতিকও মন্তব্য করেছিলেন, নাগরিকত্ব বিলে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কটা বিনষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু ভারতও এখন পরিশীলিত হয়েছে, পরিণতমনস্ক হয়েছে। বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটিও কিন্তু ৫০ বছরে আজ অনেক পরিণত। প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে তার পররাষ্ট্রনীতি। সেই রকম একটা পরিস্থিতিতে দুটি দেশেরই অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বাধ্যবাধকতা যা-ই থাক না কেন। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বোঝাপড়াটা যথেষ্ট শক্তিশালী ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আওয়ামী লীগ আর কংগ্রেসের প্রিজম থেকে পররাষ্ট্রনীতিকে বের করে এনেছেন। ভারত এবং বাংলাদেশের দুটি দেশের সম্পর্কের মধ্যে অবনতি তো দূরের কথা, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে সেই সম্পর্ক সাফল্যের পথে হেঁটেছে। স্থলসীমান্ত চুক্তি হয়েছে। তিস্তা চুক্তির চেষ্টাও অব্যাহত। সবচেয়ে বড় কথা, দুই দেশের মধ্যে ব্যাবসায়িক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। করোনা সংকটেও হাতে হাত মিলিয়ে দুই দেশ কাজ করেছে। একটা ইতিবাচক আবহ তৈরি হচ্ছে দুটি দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পটভূমিতে। ঠিক সেই সময় পাকিস্তান অসম্ভব ভয়ংকর রকমের একটা সামরিক বাহিনী গড়ে তুলে দুটি দেশের সীমান্তের কথা মাথায় রেখে ভারত আর বাংলাদেশে আইএসআই সন্ত্রাসী লস্কর-ই-তৈয়বা, হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী, জইশ-ই-মোহাম্মদ নানা রকমের সংগঠন গড়ে তোলে ভারতের বিরুদ্ধে। এমনকি তারা একটা সময়ে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও গড়ে তুলেছিল তালেবানভিত্তিক আধাস্থানীয় সন্ত্রাসী দল। সেখানে আল-কায়েদা এবং হাক্কানি নেটওয়ার্ক সাংঘাতিকভাবে সক্রিয় হয়। সম্প্রসারণবাদী পাকিস্তানের লক্ষ্য ভারতের কাছ থেকে কাশ্মীরকে ছিনিয়ে নেওয়া। আর সে জন্য তাদের দরকার আধাসামরিক একটা সামরিক কৌশল। যাতে পাকিস্তান ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে আফগানিস্তানকে ব্যবহার করতে পারে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের যুদ্ধের ময়দান থেকে পাকিস্তানের ভেতরে এই পরিকল্পনা সঞ্চারিত হয়েছিল, যা এখন মধ্য এশিয়ার আফগান-পাকিস্তান যুদ্ধের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রধান চালিকাশক্তি। ইসলামাবাদ পূর্ব পাকিস্তান হারাবার ক্ষতি ভুলতে পারে না। বাংলাদেশ সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এই পটভূমিতে ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। এটাই তো স্বাভাবিক। যখন চীন পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে একটা অক্ষ তৈরি করে। সঙ্গে বাংলাদেশকেও পেতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশ একটা নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি রেখে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হেঁটে দুনিয়ার নজর কেড়েছে। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে শুধু একটাই কথা বলা যায়, ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে’ লক্ষ মানুষের স্পন্দনধ্বনি আমরা শুনতে পাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন