ঢাকামঙ্গলবার , ৫ জানুয়ারি ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ক্যাচ ছাড়ার উৎসবে মেতেছে পাকিস্তান!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জানুয়ারি ৫, ২০২১ ১:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজেদের ইনিংসে ২৯৭ রানে অলআউট হওয়ার পর পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আজহার আলি বলেছিলেন, ‘আমরা যথেষ্ঠ রান করেছি।’ তার এ কথা হয়তো ঠিকই ছিল। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে হয়তো এর মধ্যেই আটকে রাখতে পারত পাকিস্তান। কিন্তু এর কোনো ইচ্ছাই যেন ছিল না আজহারসহ পাকিস্তানের অন্যান্য ফিল্ডারদের মাঝে।

পাকিস্তানের করা ২৯৭ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে করেছে ৬৫৯ রান। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরিতে কেন উইলিয়ামসন করেছেন ২৩৮ রান, সপ্তম সেঞ্চুরি করে হেনরি নিকলস আউট হয়েছেন ১৫৭ রানে আর ইনিংসের তৃতীয় ও নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করা ড্যারেল মিচেল অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে।

অথচ এ তিন সেঞ্চুরির একটিও হতো না, যদি পাকিস্তানি ফিল্ডাররা থাকতেন তৎপর, কাজে লাগাতেন বোলাদের তৈরি করা সুযোগগুলো। কেননা ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির আগে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন উইলিয়ামসন, নিকলস ও মিচেল। কিন্তু একটিও ধরতে পারেননি পাকিস্তানের ফিল্ডাররা।

নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে অন্তত ৭টি ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের ফিল্ডাররা। একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন দুজন মিলে। আর একবার হয়েছে এমন যে, ফিল্ডার (জাফর গোহার) ক্যাচ নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সেই ডেলিভারিটি ছিলো নো বল। সবমিলিয়ে ফিল্ডিংয়ে অদ্ভুত এক ইনিংসই কাটাল পাকিস্তান।

সর্বপ্রথম সুযোগটি এসেছিল ৭০তম ওভারে। উইলিয়ামসন তখন ব্যাট করছিলেন ৮২ রানে। নাসিম শাহর বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। কিন্তু স্লিপে দাঁড়ানো শান মাসুদ ও হারিস সোহেল মিলে ছেড়ে দেন সেটি। বল চলে যায় বাউন্ডারিতে। পরের সুযোগ আসে ৭৪তম ওভারে। এবার উইলিয়ামসনের ১০৭ রানের মাথায় ফাহিম আশরাফের বলে গালিতে ক্যাচ ছাড়েন শান মাসুদ।

কিউই অধিনায়কের জোড়া ক্যাচ ছাড়ার পর যেন আরেক সেঞ্চুরিয়ান নিকলসের দিকে নজর দেন পাকিস্তানি ফিল্ডাররা। ইনিংসের ৮১তম ওভারে নিকল খেলছিলেন ৮৬ রানে। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ ছাড়েন অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান।

অথচ ক্যাচটি এতোটাই সহজ ছিল যে, নির্ঘাত আউট ভেবে মাথা নিচু করে ফেলেছিলেন নিকলস, আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউনও আঙুল তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু সেটি গ্লাভসে রাখতেই পারেননি রিজওয়ান। ব্যক্তিগত সংগ্রহে আর ৬ রান যোগ করে ফের জীবন পান নিকলস। এবার মোহাম্মদ আব্বাসের বলে গালিতে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ছাড়েন আজহার আলি।

নিকলসকে দুই জীবন দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি পাকিস্তানের ফিল্ডাররা। তার সেঞ্চুরির পর আবার ছাড়া হয় ক্যাচ। এবার নাসিম শাহর বাউন্সারে ক্যাচটি ছাড়েন শাহিন শাহ আফ্রিদি। প্রথমবার ধরতে পারেননি তিনি। চেষ্টা করেছিলেন দ্বিতীয়বার। কিন্তু হাতে রাখতে পারেননি তখন। ফলে ১৩৩ রানে জীবন পান নিকলস।

সেঞ্চুরির আগেই জীবন পাওয়া উইলিয়ামসন আবারও বেঁচে যান ডাবল সেঞ্চুরির আগে। তখন তিনি খেলছিলেন ১৭৭ রানে। শাহিন আফ্রিদির করার ১২৪তম ওভারের প্রথম বলে গালিতে দাঁড়িয়ে কিউই অধিনায়কের ক্যাচটি ছেড়ে দেন আজহার আলি। যা কাজে লাগিয়ে ২৩৮ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন।

নিকলস ও উইলিয়ামসনকে তিনটি করে জীবন দেয়ার পর আরেক সেঞ্চুরিয়ান ড্যারেল মিচেলকেও সুযোগ দেন পাকিস্তানি ফিল্ডাররা। মিচেল তখন খেলছিলেন ব্যক্তিগত ৭৯ রান নিয়ে। নাসিম শাহর করা বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ ছাড়েন জাফর গোহার।

ঠিক এর আগে বলে একই জায়গায় ক্যাচ ধরেছিলেন জাফর। কিন্তু সেটি ছিল নো বল। ফলে পরপর দুই বলে দুইবার বেঁচে যান ইনিংসের তৃতীয় সেঞ্চুরিয়ান ড্যারেল মিচেল। একই ওভারের দ্বিতীয় বলে কাইল জেমিসনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিতে পারেননি রিজওয়ান। সেটি জেমিসনের গ্লাভসে লাগলেও আম্পায়ার সিগনাল দিয়েছিলেন বাই রানের।

আপনার মন্তব্য লিখুন